নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের রাউজানে প্রকাশ্যে, নিজ স্ত্রী ও কন্যার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মো. সেলিম নামে যুবদল নেতাকে। রোববার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ইশান ভট্টের হাট এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিম কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবং দক্ষিণ শমসের পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রয়াত আমির হোসেনের পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সেলিম তার স্ত্রী ফেরদৌস আকতার ও মেয়ে সাবরিনাকে সঙ্গে নিয়ে চাচি শাশুড়ির জানাজা শেষে নিজ খামারবাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ইশান ভট্টের হাট এলাকায় ওষুধ কেনার জন্য মোটরসাইকেল থামানোর পরপরই একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে বোরকা পরা দুই অস্ত্রধারী বের হয়ে তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোরকার আড়ালে থাকা হামলাকারীরা পুরুষ এবং তাদের একজন ছিল লম্বা ও স্বাস্থ্যবান। অটোরিকশায় আরও কয়েকজন ছিল বলেও তারা জানান।
সেলিমের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, “ওষুধ কিনে মোটরসাইকেলে উঠতেই গুলি করে পালিয়ে যায় ওরা। আশপাশে থাকা কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে আমি ও কয়েকজন মিলে সিএনজিতে করে সেলিমকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
পুলিশ বলছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে এখনো হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত সেলিম মুরগি ও গবাদিপশুর খামার পরিচালনার পাশাপাশি বালুর ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।”
এদিকে, দিবালোকে প্রকাশ্যে এমন হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।