হোম আন্তর্জাতিক রক্তের টাকায় রাশিয়াকে অর্থ জোগাচ্ছে ইউরোপ: জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয় না করার জন্য ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার ভোজ্য তেলের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এ আহ্বানে কার্যত সাড়া দিতে পারেনি তারা। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই জেলেনস্কির। তিনি বলেছেন, অন্যের রক্তে রাশিয়ার তেলের দাম পরিশোধ করছে ইউরোপ।

কিয়েভ থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিবিসিকে জেলেনস্কি বলেন, আমাদের কিছু মিত্র ও অংশীদার বুঝেছে এটা ভিন্ন এক সময়। এখন ব্যবসা বা অর্থের কোনো বিষয় নেই। এটা টিকে থাকার বিষয়। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জার্মানি ও হাঙ্গেরির দিকে ইশারা করেন। এ দুটি দেশের প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া জ্বালানি তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর প্রচেষ্টার অভিযোগ আনেন তিনি। এদিকে জার্মানি ও হাঙ্গেরিতে তেল বিক্রি করে চলতি বছর ৩২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে রাশিয়া।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার দেশে আরও অস্ত্র সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট দ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কিছু ইউরোপের দেশ সাহায্য করার চেষ্টা করছে এবং সাহায্যও করছে। তবে এসব সাহায্য আরও দ্রুত দরকার। যত দ্রুত হয় ততই ভালো। পারলে এখনই সাহায্য দরকার।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বার্লিনের অবস্থান নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করছেন ইউক্রেনের নেতারা। ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া কিছু নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দিয়েছে বার্লিন। কিন্তু তেল বিক্রিতে কঠোর পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বিরোধিতা করে আসছে দেশটি।

এদিকে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সরে গেছে। তবে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণে এখন রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও বেশি এলাকা দখলের প্রচেষ্টায় সেখানে তার সামরিক অভিযান পুনরায় কেন্দ্রীভূত করেছেন।

দক্ষিণের বন্দর নগরী মারিউপোল ইতোমধ্যে রুশ সেনাদের কয়েক সপ্তাহের বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে। জেলেনেস্কি বলেন, তার ধারণা শহরটিতে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, মারিউপোল এবং কিয়েভের বুচায় রুশ সেনারা যে নৃশংসতা চালিয়েছে তাতে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা আরও সংকুচিত হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন