হোম রাজনীতি যে রেকর্ডে সবার ওপরে তারেক রহমান

যে রেকর্ডে সবার ওপরে তারেক রহমান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 30 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করা বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১৭ বছরের বেশি সময় পর লন্ডনে নির্বাসিত জীবন থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশে ফিরছেন তিনি। এর আগে বিমানে বসেই এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি। ফেসবুকে লেখেন, ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’

বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে তারেক রহমান একা নন, নির্বাসিত জীবন-যাপন করেছেন শীর্ষ রাজনৈতিক অনেক নেতা। তবে সবার ওপরে রয়েছেন তারেক রহমান। এ তালিকায় রয়েছেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আটক হয়ে ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তারেক রহমান। এরপর চিকিৎসার জন্য ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি সপরিবারে লন্ডনে পাড়ি জমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি প্রবাস জীবন শেষে আজ তিনি দেশে ফিরছেন।

শেখ হাসিনাকে তার রাজনৈতিক জীবনে দুই দফায় ৭ বছরের বেশি সময় দেশের বাইরে কাটাতে হয়েছে। প্রথম দফায় ছিলেন নির্বাসনে। প্রায় ৬ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। পরবর্তীতে নিরাপত্তার কারণে তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। দ্বিতীয় দফায় পালিয়ে যান তিনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে তিনি দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

স্বাধীনতার বিরোধিতা করার কারণে এবং নাগরিকত্ব বাতিলের ফলে গোলাম আযম দীর্ঘ ৭ বছর বিদেশে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি পাকিস্তানে চলে যান। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করে। এরপর তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও লন্ডনে অবস্থান করেন। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে ‘ভিজিটর ভিসায়’ বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর কাদের সিদ্দিকী সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন এবং পরবর্তীতে ভারতে নির্বাসনে যান। প্রায় ১৫ বছর পর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘ সময় ভারতে কাটাতে বাধ্য হন। ২০১৫ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তাঁকে পাওয়া যায়। পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশের দায়ে সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে প্রায় ৯ বছর ৮ মাস পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

এসব শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা, কবি, লেখক, আইনজীবী ও সামরিক কর্মকর্তাও বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করেছেন। সেটি করতে গেলে হয়ত লম্বা হবে নির্বাসিত জীবন-যাপন করা ব্যক্তিদের তালিকা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন