রাজনীতি ডেস্ক:
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন পিকেটিং করতে গিয়ে যুবদল নেতা জিলু আহমদ (৪২) নিহতের ঘটনায় বুধবার (১ নভেম্বর) সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা ও মহানগর যুবদল।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ হরতালের ডাক দেয়া হয়।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুকসুদ আহমদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) এক ভিডিওবার্তায় হরতালের কথা জানিয়ে বলেন, যুবদল নেতা জিলু আহমদ হত্যার প্রতিবাদে জেলা যুবদল আগামীকাল সারা বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
রাতে হরতালের সমর্থনে জিন্দাবাজারে একটি মিছিল বের করে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
যুবদল নেতা জিলু আহমদ নিহতের ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের বলছে, পুলিশ দেখে পালানোর সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জিলু আহমদের মৃত্যু হয়েছে। যুবদল নেতারা দাবি করছেন, পুলিশের ধাওয়ায় জিলু মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান। ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি জিলুর ভাই মেহরাব জানান, গোলাপগঞ্জ থেকে লালাবাজার যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পিকেটিং করতে যান যুবদল নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ এসে যুবদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী শাহ সুন্দর এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে জিলু গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেলা ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত জিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মদনগৌরী এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনায় জিলুর ভাই মেহরাবও আহত হয়েছেন। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে পিকেটিং করার চেষ্টা করে অবরোধ সমর্থকরা। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় জিলুর মোটরসাইকেল। এতে গুরুতর আহত হন জিলু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এতে আরও একজন আহত হয়েছেন।