অনলাইন ডেস্ক:
গলিতে পড়েছিল মানুষের কবজি। একটু দূরেই নিস্তেজ রক্তাক্ত দেহ। এমন দৃশ্য দেখে ভিকটিমকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার দুদিন পর চারজন গ্রেফতার হয়েছে জিএমপি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার আবু তোরাব মোহাম্মদ শামছুর রহমান।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের বড় রসুল গ্রামের সুমন মিয়া (৩৪), একই জেলার মাহামুদপুর গ্রামের সোহেল রানা (২৫), মাদারীপুর জেলার কালকিনী থানার গোপালপুর গ্রামের আসাদ বেপারী ওরফে আসলাম (৩৪) ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দপাড়া (হক মার্কেট) এলাকার মো.ফজলু ওরফে তোতলা ফজলু (৩২)।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ৯ মার্চ ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, গাজীপুর মহানগরের পেয়ারাবাগান এলাকায় স্থানীয় ভিএন্ড আর গার্মেন্টসের গলিতে মনিরের টিনশেড বাড়ির পেছনে ড্রেনের ওপর এক যুবককে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই রাজিব মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করে সোমবার দুপুরে রংপুর থেকে সুমন মিয়া, আসলাম, ফজলু ওরফে তোতলা ফজলু এবং গাজীপুর থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে।
মাদক ব্যবসাসহ পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতে গিয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ রানার সঙ্গে আগে থেকেই শত্রুতা চলছিল হামলাকারীদের। এরই জেরে গত ৯ মার্চ ভোরে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের একজন ঘটনার স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত দুটি ধারাল দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় আহত মাসুদ রানার চিকিৎসা চলছে উত্তরার সিনশিন জাপান হাসপাতালে।