হোম আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ

যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বছরে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 78 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। ঘোষণা অনুযায়ী, বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী আনতে (এইচ-১বি ভিসায়) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে বছরে ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প একই সাথে একটি আলাদা ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসার ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে, যারা প্রচুর টাকা দিতে পারবে বা ১০ লাখ ডলার দিতে পারবে, তারা সরাসরি স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পাবেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মূল বিষয় হল, আমাদের কাছে দুর্দান্ত মানুষ আসবে এবং তারা অর্থ প্রদান করবে।

এইচ-১বি ভিসা কোম্পানিগুলোকে বিদেশি কর্মীদের স্পন্সর করার সুযোগ দেয়,যারা বিশেষায়িত দক্ষতা রাখে। যেমন: বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার। যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার জন্য প্রথমে তারা তিন বছরের জন্য আসতে পারবে। পরে এটি ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

এইচ-১বি ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া নতুন করে ঘোষণার এ পদক্ষেপটি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কর্মী ভিসা প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালায় ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় হস্তক্ষেপ।

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, ‘আপনি কাউকে প্রশিক্ষণ দিতে চাইলে আমাদের দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি স্নাতক হওয়া একজনকে প্রশিক্ষণ দিন। মার্কিনদের প্রশিক্ষণ দিন। আমাদের চাকরি কেড়ে নিতে বিদেশ থেকে লোকজন আনা বন্ধ করুন।’

তবে নতুন ফি’র কারণে মূল এইচ-১বি প্রক্রিয়ার কাঠামো এবং ভিসা বিতরণের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।এটি ১৯৯০ সালে তৈরি হয়েছিল এবং প্রতি বছর লটারি পদ্ধতিতে ৮৫,০০০ ভিসা প্রদান করে।

ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারের সময় এইচ-১বি ভিসায় কড়াকড়ি আরোপের বার্তা দিয়েছিলেন। তার ওই হুঁশিয়ারি প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। তবে একই সঙ্গে এই বার্তা নির্বাচনি প্রচারণার জন্য ট্রাম্প শিবিরে কোটি কোটি ডলার অনুদান এনে দিয়েছিল।

ট্রাম্পের একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র টেসলা সিইও ইলন মাস্ক এইচ-১বি ভিসার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। মাস্কের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তিনি পরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি এইচ-১বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছেন।

শুক্রবার ট্রাম্প তাঁর নির্বাহী আদেশে বলেছেন, কিছু নিয়োগকর্তা এই প্রকল্পটি ব্যবহার করে মজুরি কমিয়ে মার্কিন কর্মীদের অসুবিধায় ফেলেছেন। আর অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ কড়া করার মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কিন নাগরিকদের জন্য কাজের সুযোগ বাড়ানো।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেন। শুধু অবৈধ অভিবাসন দমন নয়, বৈধ অভিবাসন সীমিত করার লক্ষ্যেও নানা ধরনে উদ্যোগ নিচ্ছে তার প্রশাসন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন