হোম রাজনীতি যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তাদের ‘না’ বলুন: শেখ হাসিনা

রাজনীতি ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের শক্তিতেই টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছি বলে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রয়েছে। দেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কিন্তু যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তারা পরাজিত শক্তির দোসর। এদের ‘না’ বলতে হবে। এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই তাদের।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বাধীনতা তো একদিনে আসেনি৷ রক্ত দিয়ে কেনা এ স্বাধীনতা৷ এ দেশেরই কিছু মানুষ বুদ্ধিজীবীদের চিনিয়ে দেয় হত্যার জন্য৷ বিকৃত ইতিহাস, বিকৃত চরিত্রের মানুষ তৈরি করে। তাই এটা থামানোর লক্ষ্য নিয়েই সরকারে এসেছিলাম৷ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ঘটানো হয় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড।

শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও বন্ধ করেছিলেন তিনি।

বিএনপির শাসনামলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটচুরির অবরাধে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় দেশ হয়েছিল সন্ত্রাসীদের দেশ। ভোটচুরি আর মানুষকে কষ্ট দেয়াই বিএনপির কাজ।

তারেকের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া ও খালেদার মতো তারেকও অমানুষ হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিদেশে বসে হুকুম দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তারেকের হুকুমে অবরোধের নামে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে। মাঠে কিন্তু তারা কেউ নেই। এটা আবার কেমন আন্দোলন? তারা নাকি গণতন্ত্র দেবে? গণতন্ত্র বানান করতে পারবে কি ওরা? তারা কোন গণতন্ত্র দেবে দেশকে? দেশের মানুষ তাদের সমর্থন করে না বলেই, তাদের আন্দোলনে গতি নেই। তারা আসলে মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করছে।

এদের প্রতিহত করতে সাধারণ জনতা এগিয়ে এলে ওরা আর হালে পানি পাবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকারীরা কখনও গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশবাসীকে বুঝতে হবে। যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে, তারা পরাজিত শক্তির দোসর। এদের না বলতে হবে। এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই তাদের।

২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসেছিলেন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় বসে বিএনপি দেশব্যাপী শুরু করেছিল হত্যাযজ্ঞ। তাদের দুঃশাসনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। এরপর জনসমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশকে উন্নত করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।

এ সময় বিএনপির সঙ্গে হাত মেলানোয় বামদলগুলোর আদর্শিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন