হোম অন্যান্যসারাদেশ যশোরে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

যশোরে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

কর্তৃক
০ মন্তব্য 86 ভিউজ

যশোর অফিস :
করোনাভাইরাস আক্রান্ত যশোরে শার্শায় ইয়াকুব আলীর মৃত্যু হয়েছে। রাতে ইয়াকুব মারা যান। তিনি হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে ঢাকা গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বাড়িতে ফিরে কাউকে কিছু বলেননি।
এর আগে গত ৬ জুন আমির হোসেন নামে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার এক ব্যক্তি খুলনার গাজী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এছাড়া যশোর শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ এলাকার আমিরুল ইসলাম রন্টুর ছেলে তমাল, রবীন্দ্রনাথ সড়কের কলি এবং শার্শার হুমায়ুন কবীর নামে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এই তিনজনই মারা গিয়েছিলেন ঢাকায়।
আর আমেরিকার নিউ ইয়র্কে মারা যান শহরের কাজীপাড়া এলাকার মাহাবুব নামে এক প্রৌঢ় এবং পালবাড়ি এলাকার সোহাগ নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছিল।
ইয়াকুব আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শার্শার ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওই বাড়িতে যান। তারা হাসপাতাল থেকে পাওয়া ইয়াকুব আলীর ছাড়পত্র দেখে নিশ্চিত হন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তখনই উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন করে দেয়।
এর আগে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তার কর্নেল শাহজাহান আলীর ভাই উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি মারা যান। গেল ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে দাফন করেন।
বৃহস্পতিবার রাতের প্রথম প্রহরে মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন উপজেলার গোগা ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াকুব আলী (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের নওশের মোড়লের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, ইয়াকুব আলী কয়েকদিন আগে হৃদরোগের চিকিৎসা নিতে ঢাকায় যান। সেখানে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বুধবার (১০ জুন) তিনি ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে আসেন এবং রাতেই বাড়িতে মারা যান।
ইয়াকুব আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী।
জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিছু সময়ের মধ্যে ডা. ইউসুফের বরাত দিয়ে সিভিল সার্জন জানান, মৃত ব্যক্তিকে ঢাকার হাসপাতাল থেকে যে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোভিড-১৯-এর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এখন বলা যেতে পারে, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এদিকে, শার্শায় উপজেলায় এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন নয়জন। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনাক্তদের মধ্যে উপজেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বাবাও রয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন