যশোর অফিস :
যশোর রেজিস্ট্রি অফিসে চলছে সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড। জামায়াত-শিবিরের চক্রান্ত করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। চক্রের প্রধান হুতা রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী ও নকল নবিশ নূর নবী অবৈধ কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। বিষয়টি সব জেনেও ওই চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকার কারণে চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের নলডাঙ্গা গ্রামের জামায়াত নেতা শহর আলীর ছেলে শিবির ক্যাডার নূর নবীর নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে যশোর রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রণ করছে। এই চক্রটি অফিসে অনিয়ম-দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতির পাশাপাশি সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী নানা কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। চক্রটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছে মহাঘুষখোর রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী। চক্রটি অপরাধ মূলক কাজের আগে রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীর সম্মিতি সূচক মতামত গ্রহণ করে। ভৈরবের মতামত পেলে অপকর্মে লিপ্ত হয় নূর নবী। রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীকে খুশি করে দায়িত্ব অবহেলা করে চলেছেন নূর নবী। নিজের ইচ্ছা মত অফিসে চলেন নূর নবী। নূর নবীর যা খুশি তাই করেন। তার কাজের কোন হিসাব চলে না। সম্প্রতি চক্রটি অফিস চলাকালীন সময়ে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটু কথা বলেন। যা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যে কারণে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে যশোরের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও রেজিস্ট্রি অফিসের কর্তাদের ঘুম ভাঙেনি। এক সময় নূর নবী শিবিরের রাজনীতির সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো। আর এ কারণেই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজসহ সকল কর্মকান্ড অফিসে বসে বিরোধীতা করে আসছে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা চক্রের সদস্য নূর নবী। বর্তমানে জামায়াত গোপনে যেভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, সেই ভাবে ঘাপটি মেরে থেকে অপরাধ মূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপি সরকার বিরোধী যে সব কর্মসূচি করেছে, তাতেও অংশ নিয়েছে নূর নবী বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে। একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে ভৈরব এই চক্রের ইন্ধন দেওয়ায় অফিসে সরকার, রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র বিরোধী কাজ চলায় হতাশ হয়ে পড়েছে স্বাধীনতার বিশ^াসী সাধারণ কর্মচারীরা। তার কেউ ভয়ে কথা বলতে সাহস পায় না। যেহেতু নূর নবী পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষের টাকা উত্তোলনের দায়িত্বে থাকে এ কারণে তার কিছুই হয় না।
সূত্র জানায়, এক সময় অফিসের সম্মুখে (সামনে) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙানোর জন্য সিদ্ধান্ত হলেও তার বিরোধীতা করে নূর নবী চক্র।
রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকা- করেও কিভাবে এখনো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অফিসে কর্মরত আছেন তা নিয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছে। নিয়মিত চলছে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডও।
খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে একই সাথে সরকার নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠনের সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন কিভাবে ?
এক কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, নূর নবী সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থেকে সরকারের বিরুদ্বে অপপ্রচার করছে। তিনি ও তার বাবা জামায়াত ইসলামীর নেতা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে জড়িত থেকে সরকারের বিরুদ্বে অপপ্রচার করার কোন সুযোগ নেই। রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কোন ব্যক্তি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারে না।
রেজিস্ট্রি বেশ কয়েকজন বলেন, জামায়াত-শিবিরের এসব নেতাকর্মীরা ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় স্বার্থান্বেষী পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকায় নিজেদের প্রভাব বলয় তৈরি করছেন। তারা কৌশল হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমর্থনেও কথা বলছেন। পুলিশি তৎপরতার কারণে তারা মাঠে নামতে না পারলেও নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্য দিয়ে নিজেদের সক্রিয় রাখছেন। দলের কিছু সুবিধাবাদী ও ধান্দাবাজ নেতার হাত ধরে জামায়াত-বিএনপির অনুসারীরা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে। জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশকারী নিজেদের সংগঠিত করার পাশাপশি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন।