জাতীয় ডেস্ক:
দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও ১৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি। জামালপুরে জগন্নাথঘাট পয়েন্টে ১০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি।
এতে পৌরসভাসহ ৪১ ইউনিয়নে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ। সুপেয় পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। জামালপুর শহরেও পানিবন্দি সাড়ে ১২ হাজার বাসিন্দা।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলনবল অঞ্চলের নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, জেলায় ৬১০ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন থেকেই যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সোমবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমলেও কমছে না দুর্ভোগ। এখনও নিচু রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবেছে।