জাতীয় ডেস্ক:
বান্দরবানে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের খাদ থেকে মারুফ (২৫) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ওই পর্যটন কেন্দ্রের সুইং থ্রিলার দোলনার নিচে খাদের প্রায় ৩০০ ফিট নিচ থেকে ওই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নীলাচলের দোলনার পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
ওই চিরকুটে লিখা ছিল: ‘যদি আমার লাশ পাওয়া যায় তাহলে আমাকে বান্দরবানে দাফন করবেন এবং আমার রেখে যাওয়া মোবাইল ফোনটি বিক্রি করে দাফন কাফনের কাপড় কিনবেন।’
নিহত মারুফের বাড়ি গাজীপুর জেলায়।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মারুফ গাজিপুর থেকে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়ে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের নীলাম্বরী কটেজে কক্ষ ভাড়া নেন।
রোববার সকাল থেকে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ নীলাচলের দোলনার পাশে একটি চিরকুট দেখতে পান। পরে বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানালে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে দোলনার নিচের খাদের প্রায় ৩০০ ফিট নিচ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নীলাম্বরী রিসোর্টের পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুরে পর্যটক মারুফ রিসোর্টের ১নং কক্ষটি একদিনের জন্য ভাড়া নেন। এরপর তিনি সারাদিন স্বাভাবিক ছিলেন। পরদিন সকাল থেকে তাকে দেখতে না পেয়ে হোটেলের কর্মচারীরা রুমে খুঁজতে যান। সেখানেও দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নীলাচলের দোলনায় একটি চিরকুট পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানাই।
এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৩০০ ফিট নিচ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার মুখে প্রচণ্ড বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই পর্যটক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। কখন ও কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন; সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।