হোম অন্যান্যসারাদেশ মোটরসাইকেল ছিনতাই: চালককে হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হয় মুখ!

মোটরসাইকেল ছিনতাই: চালককে হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হয় মুখ!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 97 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

সাংবাদিক পরিচয়ে রাজধানী থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নেন। নেত্রকোনায় গিয়ে হত্যা করেন মোটরসাইকেল চালককে। পরিচয় যাতে জানা না যায়, আগুনে পুড়িয়ে দেন ভুক্তভোগীর মুখ। এমন ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতার করা দুজন হলেন: আল-ইমরান ফয়সাল (৪৪) এবং মো. মাসুক মিয়া (২৯)।

খন্দকার আল মঈন জানান, সবার কাছে দৈনিক শেষ খবরের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন আল-ইমরান ফয়সাল। অন্যদিকে, মাসুক মিয়া দিনে রাজমিস্ত্রি আর সন্ধ্যায় ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি করে। কিন্তু এসব পরিচয়ের আড়ালে দুজনই আসলে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী।

তিনি বলেন, সাইফুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত মাসুকের ভাগিনার মোটরসাইকেল কেনার শখ দিয়ে। ২৫ হাজার টাকায় ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রত্যাশা দিলেও ব্যর্থ হন ফয়সাল। নানাভাবে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেও সুরহা করতে পারে না দুজনে, যার বলি হতে হয় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানো সাইফুলকে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ভালো সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে মিরপুর থেকে সাইফুলের মোটরসাইকেল ভাড়া করে নেয়া হয় নেত্রকোনায়। সেখানে নিয়ে সাইফুলকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে দুজনে। কেউ যেন শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার মতো নৃশংস কৌশলের আশ্রয় নেন মাসুক ও ফয়সাল।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দেওরাজান বালুর চরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে সাইফুলের মরদেহ শনাক্ত করা হয়। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এবং রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন