হোম জাতীয় মোংলার করোনা রোগীদের সেবা পেতে যেতে হচ্ছে খুলনায়

জাতীয় ডেস্ক :

বাগেরহাটে মোংলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকলেও নানা সমস্যার কারণে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পারছে না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। করোনার এই মহামারিকালেও সরকারি এই হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি ও সহকারী ল্যাব টেকনিশিয়ানের তিনটি পদই শূন্য। নেই এক্স-রে টেকনিশিয়ানও।

আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালটিতে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

হাসপাতালটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শূন্য পদগুলো পূরণ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু এখন সময়ের দাবি।’

ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অধিক চাপের অক্সিজেন প্রয়োজন হলে খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত আট থেকে ১০ জনকে পাঠানো হয়েছে খুলনায়। এ ছাড়া টেকনিশিয়ান না থাকায় ননটেকনিশিয়ানদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করানো হচ্ছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে এক্স-রে মেশিনও।

করোনা রোগীদের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারায় তাদের খুলনায় পাঠাতে হচ্ছে। যদিও হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি এক্স-রেও। হাসপাতালটিতে করোনার যে ইউনিট রয়েছে সেখানে একসঙ্গে ১৫ জনকে সেবা দেওয়া যায়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়ে এখানে চিকিৎসা নিয়েছে।

এদিকে, আজ দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের ভিড়। আজ হাসপাতালে ২৬ জন করোনা পরীক্ষার নমুন দেয়। তাদের মধ্যে ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেনও। শনাক্ত ১৪ জনের নয়জনই পৌর এলাকার, বাকি পাঁচজন বিভিন্ন ইউনিয়নের। আজ করোনা শনাক্তের হার ছিল শতকরা প্রায় ৫৪ ভাগ।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার ভয়ে সেবা নিতে আসছে সাধারণ রোগীরা। খালি পড়ে রয়েছে তাই শয্যাগুলো।

সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা গেছে, শূন্য পড়ে রয়েছে হাসপাতালের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডের বেডগুলো। করোনা বাড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা ভয়ে চলে গেছে। হাসপাতালে আসছেও কম সংখ্যক রোগী। আজ পুরুষ ওয়ার্ডে দুজন ও নারী ওয়ার্ডে তিনজন রোগী দেখা গেছে। আগে যেখানে প্রায় প্রতিদিন আড়াইশ রোগী আসত, এখন তা অর্ধশততে নেমে এসেছে।

এদিকে, আজ মোংলায় করোনার কঠোর বিধিনিষেধের নবম দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার সকাল থেকেই কোস্টগার্ড সঙ্গে নিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছেন। চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মানুষকে সতর্ক ও স্বাস্থ্য সচেতন থাকার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন