জাতীয় ডেস্ক:
রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল মেট্রোরেল। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এরই মধ্যে বেশ সাড়াও ফেলেছে। মেট্রোরেল সহজ যাতায়াতের একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। দৈনিক কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করছেন এই যানে। এবার আরও পাঁচটি মেট্রোরেল করার সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জার্মানির মিউনিখ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় ঢাকায় যানজট অনেকটা কমেছে। এখনও কিছু কিছু এলাকায় রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে এখন ফার্মগেট পর্যন্ত করা হয়েছে। ঢাকাজুড়ে আরও পাঁচটি মেট্রোরেল করা হবে। সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এদিকে ঢাকায় যানজট ঠেকাতে ট্রাফিক লাইট সিস্টেম সচলের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে, ট্রাফিক লাইটগুলোকে সচল করে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে বলেছি। আগে অতিরিক্ত চাপ ছিল, এখন সেই চাপ নাই। আমরা যদি ট্রাফিক লাইট পদ্ধতিতে চলে যাই, সময় কম করে যদি বারবার ছেড়ে দেই, মানুষ একটু যদি চলমান থাকে, যতক্ষণই লাগুক অনেকক্ষণ বসে আছি সেই অনুভূতিটা হবে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল, আছে এবং থাকবে। বার বার এটা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ধারাটা আমরা বজায় রেখেছি। নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েও পারেনি। এখন পেটে ভাত নেই, এই অভিযোগ নেই। ১৫ বছরের পরিবর্তন হলো- মানুষ পেঁয়াজের দাম, মাংসের দাম নিয়ে কথা বলেন।’
অবৈধভাবে মজুতদারদের গণধোলাই করা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে বিশ্বনেতাদের কোনো উদ্বেগ বা প্রশ্ন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতারা জানতো আমিই জিতবো। প্রশ্ন তারাই তুলছে যারা ঠেকাতে চেয়েছিল। একদেশে (পাকিস্তানে) ভোটের পর ঘণ্টার পর ঘণ্টাতেও ফলাফল ঠিক করা যায় না। সেই ভোট ভালো। আর যে দেশ সময়মত ভোট কাউন্ট থেকে শুরু করে সবকিছু করলো, তাদের ভোট ভালো না। আসলে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হইনি আমি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘রমজানে কোনো জিনিসের অভাব হবে না। নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না। সেই ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়েছি।’
মিয়ানমার ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের অবস্থা খুবই খারাপ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার কোনো কাজই হচ্ছে না। বিশ্বনেতারা কথা দেয়, তবে সেই কথা রাখার বিষয়ে তাদের উদ্যোগ কম।’