নিজস্ব প্রতিনিধি :
মুক্তিযোদ্ধাদের অপদস্থ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি আব্দুল লতিফের দ্রæত অপসারনের দাবি করেছেন সাতক্ষীরার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরে তারা। এসময় বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম আব্দুল গফুর বলেন, সম্প্রতি পিপি লতিফ আমাকেসহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা নূরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জনসম্মুখে হেয় প্রতিপন্ন করে। এঘটনায় আমরা গত ২১ জানুয়ারি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করি। এখবর পেয়ে পিপি লতিফ মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচির প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে লতিফ উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাত নেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন আমার নাশকতা মামলার আসামীর তদবিরে গিয়েছিলাম। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নাশকতা মামলার আসামীদের আমাদের কোন আপোষ নেই। তিনি নাকি কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নন। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাত নেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেণ, আব্দুল লতিফকে সাধারণ মানুষ খাটাল লতিফ হিসেবে চেনে। তিনি হাভাতে ঘরের বিতর্কিত পরিবারের সন্তান। নি¤œবিত্ত পরিবার থেকে বিডিআরএর যোগ দেয়। সেখানে অপকর্ম করার জন্য বহিস্কার হয়। পরবর্তীতে সার্টিফিকেট যোগাড় করে আইনজীবী হন। ২০০৮ সালে সর্ব প্রথম আওয়ামীলীগ সরকার তাকে জজ কোর্টের এপিপি করে। তখন তার ভ‚মিকা ছিলো বিতর্কিত। ২০১৪ সালে এসে ওই লফিত এমপি রবির সহযোগিতায় এডিশনাল পিপি হয়। পরে ২০১৯ সালে এমপি রবির বদন্যতায় ভাগ্য খুলে যায় লতিফের। সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার পদ বাগিয়ে বিডিআরের চাকুরিচ্যুত লতিফ অল্প দিয়ে শহরে আকাশচুম্বি বহুতল ভবন গড়েছেন। একটা ব্যক্তি কতটুকু অপকর্ম করলে দ্রুত এগুলো সম্ভব। আমরা তার সম্পদের তদন্ত চেয়েছি। বিগত দিনে ৩ জন সংসদ সদস্য বানরের পিঠা ভাগ করেছিলেন। একজনের ভাগে পড়েছিলেন খাটাল লতিফ।
তার স্বল্পকালিন আইন পেশায় পূর্ববর্তীকালে শত শত অপরাধ করে সাতক্ষীরায় এলিট প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রশাসন তাকে সমিহ করে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা বিরুদ্ধে। কয়টা মামলা চালু আছে। সর্ব ম্যানেজ করে চলে। তার অপকর্মের তালিকা দিতে গেলে কয়েক দিস্তা কাগজ লাগবে। তার আপন ভাই পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে। এড. মুস্তফা নূরুল আলমকে চরমভাবে অপমান অপদস্ত করে ২০২২ সালে বারের ভোটের দিন পুলিশ দিয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই রাজাকার পরিবারের সন্তান সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রী দিয়ে ভোটের বক্স কেড়ে নিয়েছিল। অথচ লতিফই এড. আলম কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছিল। এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভোমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম তার অফিসেই চরমভাবে অপমানিত করে। এড. আজহারের উপস্থিতিতে আমাকে চরমভাবে অপমানিত করে। তিনি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে খাটাল লতিফের পিপি পদ থেকে অপসারন করতে হবে। তার ফুলে ফেপে ওঠার রহস্য উদঘটনের করতে হবে। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জানিয়েছেন তারা।