হোম আন্তর্জাতিক মিয়ানমারে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর জান্তার হামলায় ১০০ জন নিহত

মিয়ানমারে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর জান্তার হামলায় ১০০ জন নিহত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 66 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গত ১৮ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিন থেকে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা দ্বিগুণ বেড়েছে। ওইদিন থেকে সবশেষ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতির প্রতিবেদন অনুসারে, হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য বিমান ও স্থল উভয় ধরণের আক্রমণই তখন থেকে তীব্রতর হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার এক মাসের মধ্যে জান্তা ২০টি টাউনশিপে ২৭টি বিমান হামলা চালায়। বেশিরভাগই ছিল প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রিত বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টাউনশিপ। আগের মাসে ১০টি টাউনশিপে ১৯টি বিমান হামলা হয়েছে।

এসব হামলায় ১০০ জন নিহতের পাশাপাশি ১২২ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন শিশু, ১২ জন নারী এবং তিন জন সন্ন্যাসী ছিলেন। আগের মাস জুলাইয়ে ১১৮ জন নিহত এবং ৯২ জন আহত হয়েছে।

হামলার শিকার একজন বাসিন্দা বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বিমান হামলায় স্থানীয়রা প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছেন। আমরা দিনের পর দিন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বাস করছি। কিন্তু আমরা স্বৈরশাসনের পতনের আশা হারাইনি।

মিয়ানমারের বিশ্লেষক বলেছেন, জান্তার বিমান হামলার উদ্দেশ্য বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়া এবং প্রতিরোধ বাহিনীর শাসনব্যবস্থা ব্যাহত করা। তারা জনগণকে ভীত করতে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়।

সাতটি বৌদ্ধ মঠ এবং একটি খ্রিস্টান গির্জাও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষক বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে মনোযোগ দেওয়া উচি। এগুলো যুদ্ধাপরাধ।

কিন্তু চীন, রাশিয়া, ভারত ও কিছু প্রতিবেশী দেশ জান্তার পরিকল্পিত নির্বাচনকে সমর্থন করে চলেছে।

নিয়ান লিন থিট অ্যানালিটিকার গবেষক মো হেট নে বলেন, যেহেতু জান্তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে অবস্থান বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করতে হবে জান্তাকে। বিমান হামলা এবং স্থল আক্রমণ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন