হোম অন্যান্যসারাদেশ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী বন্ধের দাবি ব্যবসায়ী বাহারের

খুলনা অফিস :

জেলার ডুমুরিয়ায় বাহার ব্রিকসের মালিক আব্দুল হাই বাহারের কাছে অর্থ পাওনার অভিযোগ তুলে জনৈক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট লিখিত ব্যাখা দিয়েছেন ভুক্তভোগী বাহার। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ডুমুরিয়ায় আক্তারুজ্জামান টুটুল ইট ভাটার ব্যবসায় বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলে সিরাজ খানের সাথে অংশীদারিত্বের চুক্তিতে ইটভাটার ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা চলাকালে সিরাজ খানের বিভিন্ন অনিয়মের কারনে টুটুল ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হন।

তিনি দেনায় জজর্রিত হয়ে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আঃ হাই বাহারের নিকট ইটভাটা হস্তান্তর করেন। এরপর সিরাজ খান ২০১৯ সালের ২১ আগষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আঃ হাই বাহার সরকারি নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা শুরু করেন এবং তফসিলী জমির মালিকগণ বাহারের নিকট থেকে ইজারার অর্থ আদায় করছে নিয়মিত।

এরপর আঃ হাই বাহার ২০১৮ সালে ইটভাটার মালিকানা সংক্রান্তে খুলনার জিপি অ্যাড. বিজন কৃষ্ণ’র নিকট মতামত জানতে চাইলে প্রতিবেদনে বাহারের তফসিল বর্ণিত জমিতে ইটভাটা পরিচালনায় কোন বাধা নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়।

২০১৯ সালেও জেলা প্রশাসকের নিকট সিরাজের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জিপি আইউব আলীও একটি প্রতিবেদন দেন। সেখানেও বাহারের পক্ষে ভাটা পরিচালনায় কোন আপত্তি নেই বলে উল্লেখ করা হয়।

এরপরও সিরাজ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এর আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমানের তদন্তের ভিত্তিতে সিরাজুল ইসলাম খানের মালিকানার প্রমান পাননি। এরপরও মানবিক বিবেচনায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপুরনের নির্দেশ দেন। তবে তা না মেনে সিরাজ খান একটির পর একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। তিনি হয়রানী বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আবেদন জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন