নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ‘ফোর মার্ডার’ হত্যা কান্ডের ভাগ্যক্রমে বেঁচেগেছে মাত্র ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মারিয়া খাতুন। শিশুটি বর্তমানে স্থানীয় হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বর নাসিমা খাতুনের জিম্মায় রয়েছে।
মায়ের বুকের একফোটা দুধের জন্য থামানো যাচ্ছে না শিশুটির কান্না। শিশুটির আর্তনাদে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। কে থামাবে তার কান্না ?
এতিম শিশুটি সকালে তার বাবা, মা, ভাই, বোনের রক্তাক্ত লাশের পাশে বসে যখন চিৎিকার করে কান্নাকাটি করছিলো তখন হাজারো জনতা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তারাও কেঁদেছে অঝোরে।
ফুটফুটে অবুঝ শিশুটি এখনো জানেনা তার বাবা, মা, ভাই, বোন কাউকে দুনিয়াতে বাঁচিয়ে রাখেনি পাষন্ড অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা।
মায়ের বুকের একফোটা দুধের জন্য সেই ভোর থেকেই চিৎকার করে কান্না করছে অবুঝ শিশুটি। কিন্তু কে দেবে এক ফোটা দুধ ? কোথায় পাবে মায়ের আঁচল ভরা সেই আদর, ভালোবাসা ? কে থামাবে অবুঝ চাঁদের মতো ফুটফুটে শিশুটির বাতাস ভারী করা কান্না ? এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে অবুঝ শিশু মারিয়ার ভাগ্যে কি হবে ?
হত্যাকারীরা দেখে যাও, এই অবুঝ শিশুটির আর্তনাদ ! তোমাদের কি সন্তাান নেই ? তোমাদের কি মানব গর্ভে জম্ম হয়নি ? তোমাদের কি বাবা, মা ,স্ত্রী, সন্তান নেই ?
পাষন্ড হত্যাকারীরা তোমরা দেখে যাও, শিশু মারিয়া কিভাবে চিৎকার করছে মায়ের বুকের একফোটা দুধের জন্য। ও তো বড় হয়ে ওর ৬ বছর বয়সের বোন তাসনিম ও ৯ বছর বয়েসের একমাত্র ভাই সিয়ামের সাথে খেলতে চায়। ওর খেলার সাথীদেরও তো তোমরা কেঁড়ে নিলে ?
সাতক্ষীরার কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের বিভৎস্য এই হত্যাকান্ডটি যারা ঘটিয়েছে তারা ধরা পড়লে বিচারিক আদালতে হয়তো তাদের মৃত্যুদ্বন্ড হবে।