আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তেহরান। ১৯৭৯ সালে মার্কিন দূতাবাস দখল ও ইসলামি বিপ্লবের ৪২ বছরপূর্তি উপলক্ষে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।
বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলায় ইরানিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান দেশটির বিপ্লবী গার্ডসের কমান্ডার জেনারেল হোসেইন সালামি। পরমাণু চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির মধ্যেই এমন বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।
স্লোগানে মুখর ইরানের রাজধানী তেহরান। বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের সামনে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন শত শত ইরানি।
ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে যুক্তরাষ্ট্রে বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় ইরানের ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেন, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। অবিলম্বে তেহরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বিক্ষোভকারী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জিম্মি করে রাখতে চায়। গত ৪০ বছর ধরে হুমকি আর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এভাবে ইরানের অগ্রযাত্রা থামিয়ে রাখা যাবে না।
আরেকজন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলে সবার আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। কোনো ধরনের খবরদারি মানবো না আমরা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার বলেন, যেকোনো মুল্যে রুখে দেওয়া হবে পশ্চিমা আগ্রাসন। ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক আগ্রাসনের কাছে তেহরান কখনোয়ই নতি স্বীকার করবে না বলেও জানান তিনি।
জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে তেল চুরি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমাদের তেলও চুরি করার পাঁয়তারা করছে। তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
১৯৭৯ সালে এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটিতে ইসলামী বিপ্লব ঘটে। পশ্চিমাসমর্থিত মোহাম্মদ রেজা পাহলভী সরকারের পতন ঘটে। শুরু হয় ইসলামি শাসন ব্যবস্থা। একইসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয় ইরানের সাধারণ মানুষ। সেই অভ্যুত্থানের ৪২ বছরপূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
