জাতীয় ডেস্ক:
একে একে মারা গেলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম দেয়া মনসুরা আক্তারের ৫ নবজাতকের চারটিই। এনআইসিইউতে চিকিৎসাধীন একমাত্র মেয়ে শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে বাঁচাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক বিভাগের (এনআইসিইউ) প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জি জানান, জন্মের সময়ই ৫ নবজাতকের ওজন খুব কম ছিলো। এছাড়াও ছিলো নানান জটিলতা। জন্মের পরপরই তাদের এনআইসিইউতে রাখা হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর একটি শিশু মারা যায়। এরপর একে একে আরও ৩টি শিশু মারা যায়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এনআইসিইউতে এক মেয়ে শিশু চিকিৎসারত আছে। তবে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৫ সন্তানের জন্ম দেন মনসুরা আক্তার। যার ১টি ছেলে ও ৪টি মেয়ে।
নরসিংদীর শিবপুরের বান্ধারদিয়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক আমির উদ্দিন মামুনের স্ত্রী মনসুরা আক্তার (২১)। তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার নিনগাও গ্রামে। আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।
নবজাতকদের মা গৃহিণী মনসুরা আক্তার জানান, এবারই প্রথম তিনি গর্ভধারণ করেছেন। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয়, তার গর্ভে ৫টি সন্তান রয়েছে। ঢাকায় এসে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়। সেজন্য বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় আসার জন্য পরিকল্পনা করেন। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে মনসুরার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তার স্বামী মামুন জানান, রাস্তায় গাড়িতে মাসুরার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ওই দিন সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা ৫টি বাচ্চার নরমাল ডেলিভারি করেন।