হোম জাতীয় মামলা তুলে নিতে হুমকি: বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে আরিয়ান

অনলাইন ডেস্ক:

বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়েই কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত হয় সদ্য এসএসসি পাস করা আরিয়ান। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আটক করা হলেও এখনও পলাতক রয়েছে ২ জন। এছাড়া মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে এক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী আরিয়ানের ওপর এমন হামলা চালায় এলাকার কিশোর গ্যাং হামিম গ্রুপের সদস্যরা।

লাঠি, রড, ছুরির আঘাতের সঙ্গে এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুসি মারতে থাকে শিক্ষার্থী আরিয়ানকে। প্রাণ বাঁচাতে রক্তাক্ত শরীরে ছুটতে থাকে আরিয়ান। পেছনে হামলাকারীরাও ছুটতে থাকে।

গত ১৫ আগস্ট ঘটে এই লোমহর্ষক ঘটনা। এরপর ১০ জনকে আসামি করে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, মামলা তুলে নিতে আসামিরা উড়ো ফোনে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাসায় ফিরলেও পুরো শরীরে এখনও আঘাতের যন্ত্রণা রয়েছে। এখনও অবশ আরিয়ানের ডান হাত। প্রায়ই জ্ঞান হারাচ্ছে সে। সময় সংবাদকে জানায়, বন্ধুর সঙ্গে এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের মতবিরোধের জেরেই এমন প্রাণঘাতি হামলা হয়েছে তার ওপর।

সন্তানের এমন অবস্থায় দিশেহারা তার পরিবার। তারা জানান, হামলাকারীরা ফোন দিয়ে মামলা তুলে নিতেও দিচ্ছে হুমকি।

আরিয়ানের বাবা জানান, যেদিন এ মামলার ২ নম্বর আসামি অনন্ত গ্রেফতার হয় সেইদিন একটা ফোন নাম্বার থেকে ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, মামলা তুলে নিলে আপনার জন্য ভালো, আমার জন্যও ভালো হয়।

আরিয়ানের বন্ধু জানায়, কিছুদিন আগে আসামিদের সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে তার মতবিরোধ হয়। এর জের ধরেই আরিয়ানের ওপর এমন হামলা হয়েছে।

সে আরও বলে, আমার বন্ধুকে কেন মেরেছে সেটা আমি জানি না। ওদের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে ৫২টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। যেখানে সদস্য প্রায় ৬৮২ জন। যারা হত্যা, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ জড়িয়ে আছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন