নিউজ ডেস্ক:
মানবরচিত সংবিধানের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘মানুষের আইন নয়, আল্লাহর আইনে চলবে দেশ। আমরা এমন সংবিধান চাই না, যেখানে ইসলামবিরোধী ধারা রয়েছে। সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী ধারা বাতিল করে মদিনার সুশাসনকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বেলস পার্ক মাঠে জামায়াতসহ সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সমমনা আট দল ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যেই একত্র হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন—এক পক্ষ আল্লাহর দল, অন্য পক্ষ শয়তানের দল। আমরা আল্লাহর দলে থাকতে চাই। তাই আসুন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোরআনের আইনকে রাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সমমনা আট দলকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের পরিবর্তন চাইলে জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমেই কল্যাণমুখী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামী নীতির অনুপস্থিতিকে তিনি সমালোচনা করেন। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, ‘আল্লাহর আইন মেনে যারা রাষ্ট্র চালায় না, তারা জালেম, কাফের ও ফাসেক তবে আমরা কারও জন্য দরজা বন্ধ করছি না। দেশের সব দল-সংগঠনকে আহ্বান জানাই এসো, সবাই মিলে দেশের কল্যাণে কাজ করি।’
দেশের একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘একটি দল নিষিদ্ধ হলো, কিন্তু যারা তাদের সহযোগিতা করেছে, তাদের দায় কি নেই? বিচার যদি হয়, তা সমান মানদণ্ডেই হতে হবে।’
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘একসময় আমরা অনেকেই পীর পছন্দ করতাম না, ছাত্রজীবনে আমিও তাই ভাবতাম। কিন্তু আজ চরমোনাই পীর সাহেবের পাশে বসে বুঝলাম, তিনি শুধু আধ্যাত্মিক নেতা নন, এ দেশের ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার এক অগ্রনায়ক।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাসির আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীসহ আট দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
