রাজনীতি ডেস্ক:
মাদারীপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার সময় যেসব দেশ বিরোধিতা করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় যে দেশ ইন্ধন দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এদেশের সরকারকে যারা লালন-পালন করেছিল, তারা এখন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করে। এমনকি নির্বাচনের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। সেই বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানকে মেনে নিতে পারে না, উন্নয়নকে মেনে নিতে পারে না।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চরে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিদেশিরা বলেছিল, এই সেতু করার জন্য কোনো টাকা তারা দেবে না এবং দেয় নাই, এমনকি বিদেশিরা সেতু নির্মাণ থেকে বিদায়ও নিয়েছিল। তখন শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সারা পৃথিবীকে সেটা দেখিয়েছে। তেমনি এ নির্বাচনকে ঘিরে যে ষড়যন্ত্র, তা ভোটের মাধ্যমে বহির্বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আবারও সাংবিধানিকভাবে সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির নির্বাচনের ওপর আস্থা নেই উল্লেখ করে চিফ হুইপ বলেন, ‘নির্বাচনের ওপর আস্থা, ভোটের ওপর যে অধিকার বিএনপি কখনই বিশ্বাস করে না। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে না আসার ষড়যন্ত্র করে। গত নির্বাচন ও এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। বিএনপি মনে করেছিল তারা যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে এ দেশে নির্বাচন হবে না। মানুষের ভোটের অধিকার তারা দিতে চায় না। সংবিধানকে বিএনপি যেমন পরিবর্তন করেছিল, এখনও সেই সংবিধানকে পরিবর্তন করতে চায়, সংবিধানকে কাটতে চায়, এটা নিয়েই তাদের ষড়য়ন্ত্র। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও বারবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে হাতে থাকার কারণে সব চক্রান্তকে উপেক্ষা করেই বাংলাদেশে সঠিক সময়ে নির্বাচন হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা ও পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান।
এর আগে চিফ হুইপ পাঁচ্চর ইউনিয়নের লিয়াকত হোসেন ঢালীর বাড়ি, বাচ্চু মিয়া মিঠু বেপারীর বাড়ি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাক আকনের বাড়ি গণসংযোগ করেন। পরে হোগলার মাঠ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করেন। বিকেলে দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের হাবিব মৃধার বাড়ি গণসংযোগ, মফিজ আহমেদের বাড়ি সংলগ্ন মাঠে জনসভা, নদীরপাড়ে গণসংযোগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম তালুকদারের বাড়িতে উঠান বৈঠক করেন।