জাতীয় ডেস্ক:
মাদক কারবারে কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আপন দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাদক মামলায় সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বদির দুই ভাই ও বেশ কয়েকজন অনুসারীর সংশ্লিষ্টতার তথ্য। তাদের যাবতীয় সম্পত্তি জব্দের জন্য শনাক্ত করা হচ্ছে।
‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা’ শিরোনামে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্তি আইজিপি ও সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
সিআইডি প্রধান জানান, ২০২২ ও ২৩ সালে দায়ের হওয়া আলোচিত ৩৫টি মাদক মামলা অধিকতর তদন্ত করে দশ জন গডফাদারের নাম পাওয়া গেছে। ঢাকা, টঙ্গী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পাবনায় থাকা এসব গডফাদারের প্রায় দুইশ কোটি টাকার অর্থ-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিআইডি বলছে, এসব মামলার তদন্তে উঠে আসা ১০ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর ৫ জনই কক্সবাজারের টেকনাফের। এরা হলেন ফজর আলী, সিদ্দিক আহমেদ, নুরুল কবির, শফিক আলম ও নুরুল হক। এছাড়া, ঢাকার আদাবর এলাকার নুরুল ইসলাম, টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী পারুল, পাবনার আতাইকুলার শাহীন আলম, খুলনার লবনচরার শাহাজাহান হাওলাদারের নাম এসেছে সিআইডির তদন্তে। এদের শত শত কোটি টাকার গাড়ি-বাড়ি ও জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। যেগুলো আদালতের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০ হাজার মাদক মামলা দায়ের হয়। অধিকাংশ মামলায় তদন্ত শেষ হয় না। তদন্ত হলেও কোনো গডফাদারের নাম আসে না। এগুলোর মধ্যে বাছাই করে আলোচিত মামলার অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিআইডি। এখন পর্যন্ত ১০ মামলায় ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা, জেলা ও বিভাগভিত্তিক মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে সিআইডি।