হোম অন্যান্যসারাদেশ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর ওপর নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা সেতুর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর ওপর নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা সেতুর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 83 ভিউজ

মাগুরা অফিস :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাগুরার মহম্মদপুরের এলাংখালী ঘাটে মধুমতি নদীর ওপর নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা সেতুর’ উদ্বোধন করেছেন।
এ সময় মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড.বীরেন শিকদার, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জুলিয়া সুকাইনা, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্র্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর উপর শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মিত হয়েছে। উপজেলার এলাংখালী-জাঙ্গালিয়া ঘাটে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ ও ৯.৮০ মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মানে ব্যায় হয়েছে ‘ ৬৩ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। মূল সেতু ছাড়াও এর দু’পাড়ে প্রটেকশনসহ এ্যপ্রোচ সড়কের মোট দৈর্ঘ ১ হাজার ১৭৬ মিটার। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্তে ৪৬৬ মিটার ও পশ্চিম প্রান্তে ৭১০ মিটার নতুন সড়ক নির্মিত হয়েছে।

সেতুটি নির্মানের ফলে এলাকার জনগনের যাতায়ত এবং কৃষি পণ্য পরিবহন ও আমদানী-রফতানি বানিজ্যে গতি সঞ্চার করবে। এলাকায় অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আধুনিক নগর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। এর পাশপাশি সরকারের প্রশাসনিক সেবা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কর্মকান্ডে গতি আসবে এবং জনগণ সরকারি সেবাসমুহ সহজেই লাভ করতে পারবে।
অন্যদিকে ফরিদপুর জেলার মধুখালি হয়ে দৌলদিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক ব্যবহারকারিদের জন্য ঢাকার সাথে দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমে যাবে। মহম্মদপুর থেকে পার্শ্ববর্তি শালিখা উপজেলা এবং নড়াইল জেলার লোহাগাড়া ও যশোর জেলার বাঘারপাড়া এলাকার জনসাধারণ সহজেই সেতুটি ব্যবহার করে রাজবাড়ি, ফরিদপুর ও ঢাকায় যাতায়ত করতে পারবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন