অনলাইন ডেস্ক:
মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনের মিছিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অস্ত্র হাতে এক যুবকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাকে শনাক্ত করতে পারলেই গ্রেফতার করা হবে।
মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম জাহিদ বলেন, ‘প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়ে ও গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। তার দাবি, অস্ত্র হাতে যুবকের নাম শাহিন, তিনি মাগুরা আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাসা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায়। পুলিশ ছাত্রলীগের ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করে উল্টো আমাদের হয়রানি করছে। ছাত্রলীগের ওই সন্ত্রসী গতকাল (০৬ সেপ্টেম্বর) যে গুলি চালিয়েছিল বিএনপির মিছিলে তা প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই দেখেছে, সেখানে গুলির পরিত্যক্ত খোসা পড়ে থাকতে।’
তবে অস্ত্র হাতে যে যুবকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সে ছাত্রলীগের কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম। তার দাবি, ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অস্ত্র হাতে যুবকের ছবি আমাদের নজরে এসেছে। তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিচয় জানতে পারলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’
বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে শহরের কেশব মোড় থেকে একটি মিছিল বিএনপির ইসলামপুর পাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবায় মার্কেটের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের জুতাপট্টি, কলেজ রোড ও চৌরঙ্গী মোড় ইটপাটকেলের ছোড়াছুড়িতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম, শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম এবং সদর থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক বি এম পলাশ আহত হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা ও কেউ গ্রেফতার হয়নি।