হোম জাতীয় মাকে বিশ্রাম দিতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি নেয়া নাইম পুড়ে অঙ্গার

মাকে বিশ্রাম দিতে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি নেয়া নাইম পুড়ে অঙ্গার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 137 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন বরগুনার নাইম। পুড়ে যাওয়া কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে তিনি নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করতেন।

নিহত নাইম বরগুনার সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের মো. নান্টু হাওলাদারের ছেলে।

নাইম ২০২১ সালে উপজেলার নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৩ সালে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

স্বজনরা জানান, অসচ্ছল পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে এক মাস আগে ঢাকায় যান নাইম। প্রথমে একটি রেস্টুরেন্টে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ নেন তিনি। এরপর কর্মস্থল পরিবর্তন করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যোগ দেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তার দায়িত্ব পালনের সময়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে ঘটনা এবং তার অবস্থান সম্পর্কে বাড়িতে ফোন করে তার বাবাকে জানান নাইম। এর কিছুক্ষণ পরপরই তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তার মৃত্যুর খবর পান স্বজনরা।

নিহত নাইমের চাচা মো.মিরাজ দফাদার বলেন, নাঈম অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ওর মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন এবং তার বাবা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যখন যে কাজ পায় সে কাজ করেস। বাবা-মায়ের এমন করুন অবস্থায় নাঈম নিজে সংসারের হাল ধরতে চান। এজন্য তিনি ঢাকা গিয়ে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ নেন। এখন তাকে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। চোখের সামনে একটি পরিবার একেবারে পথে বসে গেল।

নাঈমের ফুফু মাহফুজা বেগম বলেন, অভাবের কারণে নাইমের মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এটা নাইম ভালোভাবে নিতে পারেনি। তাই অন্যের বাড়িতে মায়ের কাজ করা বন্ধ করতে চাকরি করতে ঢাকা যায় নাঈম। তরতাজা ছেলেটা এখন লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।

তিনি আরও বলেন, নাঈমের ওপর ভরসা করে অনেক টাকা ঋণ করে সম্প্রতি নতুন ঘর তুলেছেন নাইমের বাবা। ঋণের জালে জর্জরিত এই পরিবারটি একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একমাত্র ছেলেও এখন না ফেরার দেশে। চোখের সামনে এমন বিপর্যয় মানতে পারছিনা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন