হোম খুলনাযশোর মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি থেকে মহাকবি হয়েছেন, কাব্য থেকে মহাকাব্য লিখেছেনঃপ্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ

মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি থেকে মহাকবি হয়েছেন, কাব্য থেকে মহাকাব্য লিখেছেনঃপ্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 16 ভিউজ

পরেশ দেবনাথ:

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ২০১তম জন্মবার্ষিকী ও মধুমেলা-২০২৫ উপলক্ষ্যে তাঁর জন্মস্থান কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে সাত দিনব্যাপী মধুমেলার চতুর্থ দিন সোমবারে (২৭ জানুয়ারী-২৫) প্রধান অতিথি হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবি থেকে মহাকবি হয়েছেন। কাব্য থেকে মহাকাব্য লিখেছেন। মাত্র ৪৯ বছরের জীবনে তাঁর সাধনা দেখেন। তিনি লেখাপড়া, সাহিত্য চর্চা, নিজেকে বদলে ফেলার চর্চা,আধুনিকায়নের চর্চা করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর এ দীর্ঘ সাধনা ও অধ্যায়ন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এখানে যারা শিক্ষার্থী আছে তারা মহাকবির জীবন থেকে ওই শিক্ষাটুকু নাও, যে শিক্ষাটুকু নিলে নিজেকে বদলে ফেলতে পারবে। তাহলে উনার মতো স্মরণীয় বরণীয় হতে পারবে।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কবি ও কথা সাহিত্যিক তালুকদার লাভলী, দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোরের জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসী ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলি, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. বদিউজ্জামাল মিন্টু, দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক নুর ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মিফতাহুল অমিত। উপস্থাপনায় ছিলেন, যশোর কালেক্টরেট স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিনারা খন্দকার ও যশোর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবিব পারভেজ।

প্রথম পর্বে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে কেশবপুর উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু ও কেশবপুর চারুপীঠ একাডেমির পরিচালক উৎপল দে’র উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সংগঠনগুলো হলো, কন্ঠস্বর, পাঁজিয়া, কেশবপুর, যশোর। মধুসূদন সংগীতালয়, কেশবপুর, যশোর। মধু সংগীত একাডেমি, সাগরদাঁড়ী, কেশবপুর, যশোর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, কেশবপুর, যশোর। সংসপ্তক শিল্পী সংগঠন, মণিরামপুর, যশোর। যশোর জেলা সদরের অংশগ্রহণকারী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো হলো, মা নৃত্যালয়, যশোর, নৃত্য। ডায়মন্ড ক্লাব, যশোর, নাটক। স্বরলিপি, যশোর, সঙ্গীত। স্বরগম, যশোর, সঙ্গীত। ব্যঞ্জন থিয়েটার, যশোর, নাটক। প্রত্যয় থিয়েটার, যশোর, নাটক।

৩য় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিলেন, কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের পরিবেশনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কেশবপুর, যশোর, “কেশবপুরের জুলাই আন্দোলন”। গান, শিল্পী হাবিবুর রহমান বাবু (মোল্যা বাবু)। রাত ১০.৩০টায় থাকবে বিশেষ আকর্ষণ উলাশী, শার্শা, যশোর, অগ্রদূত অপেরা কতৃক যাত্রাপালা: “নিহত গোলাপ”।মধুপল্লী ঘিরে ছিল পর্যাপ্ত ভীড়। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সাগরদাঁড়ি গ্রামের জমিদার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মহাকবি মধুসূদন দত্ত মারা যান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন