হোম রাজনীতি মন্ত্রী-এমপি হয়েও আওয়ামী লীগের টিকিটবঞ্চিত যারা

মন্ত্রী-এমপি হয়েও আওয়ামী লীগের টিকিটবঞ্চিত যারা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 132 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা থেকে ছিটকে গিয়ে বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। এর মধ্যে তিনজন প্রতিমন্ত্রী এবং ৭১ জন সংসদ সদস্য একাদশ সংসদ নির্বাচন ও পরে উপনির্বাচনে জিতে এলেও তাদের এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।

বাদ পড়া তিন প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে এবার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে পারছেন না। কেননা, তার জায়গায় বিপ্লব হাসানকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান খুলনা-৩ আসনে মনোনয়ন না পাওয়ায় তার জায়গায় নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। ময়মনসিংহ-৫ আসনে গত নির্বাচনে জয় পাওয়া সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের জায়গায় এবার লড়ছেন আব্দুল হাই আকন্দ।

এ ছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে বিজয়ী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের আসনে লড়ছেন মো. মাহবুবুর রহমান। যদিও ডা. মুরাদ ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাদের তালিকায় সাবেক মন্ত্রীরাও

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এবার বেশ কিছু সাবেক মন্ত্রীও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে চাঁদপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তার জায়গায় দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সাল থেকে ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও পাল্টে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি নবম সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমে প্রবাসী কল্যাণ এবং পরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে গত সংসদ নির্বাচনের পর আর মন্ত্রিত্ব পাননি। তার আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে বেছে নেয়া হয়েছে।

জামালপুর-১ আসনে মনোনয়ন পাননি সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। সেখানে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ। ১৯৯১ সাল থেকে চট্টগ্রাম-১ আসনে নৌকা নিয়ে লড়ে আসা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও আর ভোট করছেন না। তিনি গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়। এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে তার ছেলে মাহাবুব উর রহমানকে। সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে জিতে এসেছিলেন। তাকে পাল্টে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে সাবেক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দকে। ঢাকা-৭ আসনের হাজি মোহাম্মদ সেলিমের জায়গায় নির্বাচন করছেন তার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম।

বাদ পড়া এমপি

ঢাকা-৫ আসনে কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর জায়গায় নৌকা প্রতীকে লড়ছেন হারুনুর রশীদ মুন্না, ঢাকা-৭ আসনে হাজি সেলিমের জায়গায় মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-১০ আসনে মো. শফিউল ইসলামের জায়গায় ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে এ কে এম রহমতুল্লাহর জায়গায় মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খানের জায়গায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা-১৪ আসনে আগাখান মিন্টুর আসনে লড়বেন মো. মাইনুল হোসেন খান।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে প্রার্থী পাল্টেছে তিনটিতে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৩ আসনে আতাউর রহমান খানের জায়গায় কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ আসনে মোহাম্মদ হাছান ইমাম খানের জায়গায় মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার এবং টাঙ্গাইল-৫ আসনে ছানোয়ার হোসেনের জায়গায় লড়ছেন মো. মামুন-অর-রশিদ।

ফরিদপুরে প্রার্থী পাল্টেছে দুটি। ফরিদপুর-১ আসনে মঞ্জুর হোসেনের জায়গায় মো. আবদুর রহমান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জায়গায় লড়ছেন শামীম হক। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে একটি করে আসনে প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ-১ আসনে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের আসনে মো. আব্দুস সালাম, গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল হোসেনের জায়গায় রুমানা আলী, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নূর মোহাম্মদের জায়গায় আবদুল কাহার আকন্দ ও নরসিংদী-৩ আসনে জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহনের জায়গায় ফজলে রাব্বী খানকে বেছে নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে তিনজন সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসনে এবার লড়ছেন তার ছেলে মাহাবুব উর রহমান। চট্টগ্রাম-৪ আসনে দিদারুল আলমের আসনে এস এম আল মামুন এবং চট্টগ্রাম-১২ আসনে সামশুল হক চৌধুরীর আসনে নৌকা পাচ্ছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

কুমিল্লা-১ আসনে সুবিদ আলী ভুঁইয়ার জায়গায় আবদুস সবুর ও কুমিল্লা-৮ আসনে নাছিমুল আলম চৌধুরীর আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন পেয়েছেন মনোনয়ন। চাঁদপুরেও আসন পাল্টেছে দুটি। এর মধ্যে চাঁদপুর-১ আসনে মহিউদ্দীন খান আলমগীরের জায়গায় সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ আসনে মো. নুরুল আমিনের আসনে লড়বেন মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী মায়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে এবাদুল করিমের আসনে ফয়জুর রহমান, নোয়াখালী-৬ আসনে বেগম আয়েশা ফেরদাউসের জায়গায় তার স্বামী মোহাম্মদ আলী এবং কক্সবাজার-১ আসনে জাফর আলমের আসনে বেছে নেয়া হয়েছে সালাহ উদ্দীন আহমদকে। পঞ্চগড়-১ আসনে মজাহারুল হক প্রধানের জায়গায় মো. নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দবিরুল ইসলামের জায়গায় মাজহারুল ইসলাম, রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য এইচ এন আশিকুর রহমানের জায়গায় তার ছেলে রাশেক রহমান ভোট করছেন নৌকা নিয়ে।

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে এম এ মতিনের জায়গায় সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেনের জায়গায় লড়ছেন বিপ্লব হাসান। গাইবান্ধা-৪-এ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন আবুল কালাম আজাদ। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বগুড়া-৫ আসনে হাবিবর রহমানের জায়গায় মজিবুর রহমান মজনুকে বেছে নেয় ক্ষমতাসীন দল।

নওগাঁর ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী পাল্টায় আওয়ামী লীগ। নওগাঁ-৩ আসনে ছলিম উদ্দীন তরফদারের জায়গায় সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং নওগাঁ-৪ আসনে মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের জায়গায় বেছে নেয়া হয় মো. নাহিদ মোর্শেদকে।

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পাঁচজন সংসদ সদস্যের মধ্যে মনোনয়ন পাননি তিনজনই। তারা হলেন: রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে এনামুল হক ও রাজশাহী-৫ আসনে মনসুর রহমান। এই তিন আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন যথাক্রমে মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মো. আবদুল ওয়াদুদ।

সিরাজগঞ্জের ছয়জন এমপির মধ্যে মনোনয়ন পাননি তিনজনই। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে হাবিবে মিল্লাতের জায়গায় মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমামের জায়গায় মো. শফিকুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মেরিনা জাহানের জায়গায় বেছে নেয়া হয়েছে চয়ন ইসলামকে। পাবনায় প্রার্থী পাল্টেছে একটি। ৪ আসনে মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাসের আসনে নৌকা পেয়েছেন গালিবুর রহমান শরীফ।

মেহেরপুর-২ আসনে সাহিদুজ্জামান খোকনের আসনে আবু সালেদ মো. নাজমুল হক, ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খানের আসনে মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী মনোনয়ন পান। যশোরের দুটি আসনে প্রার্থী পাল্টেছে আওয়ামী লীগ। যশোর-২ আসনে নাসির উদ্দিনের আসনে মো. তৌহিদুজ্জামান এবং যশোর-৪ আসনে রণজিত কুমার রায়ের আসনে লড়বেন এনামুল হক বাবুল।

মাগুরা-১ আসনে সাইফুজ্জামান শিখরকে পাল্টে আওয়ামী লীগ নৌকা দিয়েছে সাকিব আল হাসানকে। বাগেরহাট-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এএইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আমিরুল আলম মিলনকে প্রতীক দেয়নি দল।

খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের জায়গায় ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৩ আসনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের আসনে এস এম কামাল হোসেন এবং খুলনা-৬ আসনে মো. আক্তারুজ্জামানের বদলে নৌকা পান মো. রশিদুজ্জামান। সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবির জায়গায় মো. আসাদুজ্জামান বাবু এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস এম জগলুল হায়দারের জায়গায় বেছে নেয়া হয়েছে এস এম আতাউল হককে।

সবচেয়ে বেশি প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ-৩ আসনে নাজিম উদ্দিন আহমেদের জায়গায় নিলুফার আনজুম, ময়মনসিংহ-৫ আসনে কে এম খালিদের আসনে আব্দুল হাই আকন্দ এবং ময়মনসিংহ-৯ আসনে আনোয়ারুল আবেদীন খানের জায়গায় বেছে নেয়া হয়েছে আবদুস সালামকে।

জামালপুরেও আসন পাল্টেছে তিনটি। এর মধ্যে জামালপুর-১ আসনে আবুল কালাম আজাদের জায়গায় নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৪ আসনে মুরাদ হাসানের জায়গায় মো. মাহবুবুর রহমান এবং জামালপুর-৫ আসনে মোজাফফর হোসেনের জায়গায় বেছে নেয়া হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে।

নেত্রকোনায় প্রার্থী পাল্টেছে দুটি। নেত্রকোনা-১ আসনে মানু মজুমদারের জায়গায় মোশতাক আহমেদ রুহী এবং নেত্রকোনা-৫ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের আসনে বেছে নেয়া হয়েছে আহমদ হোসেনকে। শেরপুরের তিনটি আসনের মধ্যে প্রার্থী পাল্টানো হয়েছে একটি। শেরপুর-৩ আসনে এ কে এম ফজলুল হকের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে এ ডি এম শহীদুল ইসলামকে।

সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে প্রার্থী বদল হয়েছে একটিতে। সিলেট-৫ আসনে হাফিজ আহমেদ মজুমদারের জায়গায় মাসুক উদ্দিন আহমদ নৌকা নিয়ে লড়ছেন। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মনোনয়ন পাননি। নৌকা পেয়েছেন রণজিত চন্দ্র সরকার।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তকেও বাদ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন পেয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। হবিগঞ্জে আসন পাল্টেছে দুটি। এর মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসনে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের জায়গায় মো. মুশফিক হোসেন চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ-২ আসনে আব্দুল মজিদ খানের আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ময়েজ উদ্দিন শরীফকে।

মৌলভীবাজার-৩ আসনে এবার নৌকা নিয়ে লড়বেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নেছার আহমদ। বরিশাল জেলার দুজন সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। বরিশাল-২ আসনে শাহে আলমের জায়গায় লড়বেন তালুকদার মো. ইউনুস। বহুল আলোচিত বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ দেব নাথকেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এ আসনে লড়বেন সাবেক নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের মেয়ে শাম্মী আহমেদ। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনও মনোনয়ন পাননি। এই আসনে লড়বেন সুলতানা নাদিরা।

এমপি থেকেও স্বতন্ত্র যারা

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার রাজশাহী-৪ আসনে তিনবারের এমপি এনামুল হক এবার কাঁচি প্রতীক নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। একাদশ সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে সামশুল হক চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে আগে তিনবার বিজয়ী হলেও এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেন গুপ্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের মনোনীত প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। টাঙ্গাইল-৫ আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন এবার নির্বাচন করছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে। একইভাবে আরও যেসব সংসদ সদস্য দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন নওগাঁ-৩ আসনের ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৪ আসনের ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।

এ ছাড়াও স্বতন্ত্র হয়েছেন বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ, কক্সবাজার-১ আসনের জাফর আলম, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গাইবান্ধা-৪ আসনের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ঝিনাইদহ-৩ আসনের শফিকুল আজম খান, যশোর-৪ আসনের রণজিৎ কুমার, সাতক্ষীরা-২ আসনের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, হবিগঞ্জ-২ আসনের আব্দুল মজিদ খান ও ময়মনসিংহ-৯ আসনের বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খাঁ। এ ছাড়া ঢাকায়ও বেশ কিছু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন