মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙ্গে ওয়াশরুম (টয়লেট) করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ স্থানীয় কুশোরীকোনা-কামিনীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক সুকুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান। বুধবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরজমিনে তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কুশারীকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান দুটিই একই প্রাঙ্গনে অবস্থিত। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনে প্রায় ৩০বছর আগে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। উক্ত শহীদ মিনারে ওই দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছে। গত ১৫ জানুয়ারী কুশারীকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ওই শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে একই স্থানে ওয়াশরুম স্থাপন করার উদ্যোগ নেন। শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলায় এবার শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষুদ্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, মাঠে পানি থাকায় জায়গা সংকটে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে শহীদ মিনার ভেঙে ওয়াশবøক করা হচ্ছে। অচিরেই নতুন করে একটি শহিদ মিনার করা হবে। কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন সরকার বলেন ,আমাদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদ মিনা ভেঙ্গে ফেলেছেন। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়েছি। মনিরামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু মোত্তালেব আলম বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।