হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে বাড়িতে পুত্রবধূর মরদেহ রেখে শ্বশুর পলাতক

মনিরামপুরে বাড়িতে পুত্রবধূর মরদেহ রেখে শ্বশুর পলাতক

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 27 ভিউজ

রিপন হোসেন সাজু:

যশোরের মনিরামপুরে বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে জেসমিন আক্তার জোসনা (৩৪) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ রেখে শ্বশুর পলাতক থাকার অভিযোগ উঠেছে।পরে পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারকরে। সোমবার দুপুরে তিন সন্তানের জননীর ওই গৃহবধুর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। আর রোববার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। নিহত জেসমিন আক্তার জোসনা একই গ্রামের রায়হান উদ্দীন দফাদারের স্ত্রী।

গৃহবধুর ভাই সাগর হোসেনের অভিযোগ, তার বোনের শ্বশুর আব্দুল মমিন বিভিন্ন সময় জোসনাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরের নির্যাতন সইতে হতো জোসনাকে। রোববার রাতে জোসনার সঙ্গে ঝগড়া করেন শ্বশুর মমিন। এক পর্যায়ে মারধর করলে জোসনার মৃত্যু হয়। এরপর শ্বশুর বাড়ির লোকজন গলায় রশি জড়িয়ে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার কথা প্রচার করেছেন। শ্বশুরের খারাপ নজরের বিষয়ে এর আগেও জোসনা তাকে জানিয়েছেন। তখন জোসনার স্বামীর কাছে অভিযোগ করার পর কিছুদিন চুপ থাকেন শ্বশুর আব্দুল মমিন। পরে আবার একই আচরণ শুরু করেন। গৃহবধূর স্বামী রায়হান দফাদার বলেন, আমি মালয়েশিয়ায় কাজে গিয়েছিলাম। তখন আব্বার বিরুদ্ধে একদিন খারাপ কথা শুনে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এক বছর আগে দেশে এসে আবার স্ত্রী সন্তানদের শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে ফিরিয়ে আনি। এরপর থেকে গোপালপুর বাজারে ব্যবসা করি। রোববার দোকান থেকে বাড়ি ফিরে শুনি আমার বাবার সঙ্গে জোসনার ঝগড়া হয়েছে। বাড়ি ফেরার পর জোসনা আমার সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। রাত ১০টার দিকেই জোসনার রাগ কমেনি। আমি জোসনাকে বুঝিয়ে রাতের খাবার চাই। খাবার দিতে দেরি করায় আমার ঘুম এসে যায়। রাত ১২টার দিকে ঘুম ভাঙার পর দেখি জোসনা ঘরে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পেছনে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জোসনার মরদেহ পাই। জোসনা আমার আব্বার কথা সহ্য করতে পারতেন না। এ জন্য অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। আব্বার সঙ্গে শুধু জোসনার ঝগড়া হয়েছে, তাকে মারধর করা হয়নি। জোসনার মরদেহ পাওয়ার পর থেকে আব্বা কোথায় আছেন সেটা বলতে পারবনা। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত অবদী শ্বশুর মমিন উদ্দিন বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই সাইফুল ইসলাম সাগর বাদীহয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন হোসেন মোল্যা বলেন, লোক মুখে শ্বশুর সর্ম্পকে নানা ধরনের কথা শুনেছি ওই গৃহবধূর ঘাড়ে একটি কাটা দাগ দেখা গেছে। যা দেখে সন্দেহ হওয়ায় আমরা লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানা যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন