হোম অন্যান্যসারাদেশ মনিরামপুরে কোচের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুইভাই নিহত

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মনিরামপুরে সোমবার সকালে সাতক্ষীরাগামী মামুন এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি কোচের চাপায় মোটরসাইকেলের আরোহী সহোদর ভাইয়ের মধ্যে বড়ভাই শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ছোটভাই মইন উদ্দিন আহম্মেদের ডান পায়ের দুই স্থান ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হওয়াই উন্নত চিকিৎসার জন্য মইনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়। দুই ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ দিকে দুই ভাইকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় চিনাটোলা বাজারে এলাকাবাসী রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে কোচটি আটক করে। পরে পুলিশ কোচটি উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে আসে।

মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী ভাটা শ্রমিক শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের মাঝলাউড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ(৩৫) ও ছোট ছেলে মইন উদ্দীন আহম্মেদ(৩০) সোমবার সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে মনিরামপুর পৌরশহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে সুন্দলপুর বাজারের উত্তর পাশে দিপ্র ব্রিকসের সামনে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা সাতক্ষীরাগামী মামুন এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী একটি কোচ তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বড়ভাই শাহাবুদ্দীন আহম্মেদ। গুরুতর আহত হয় ছোটভাই মইন উদ্দীন আহম্মেদ। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গুরুতর আহত মইন উদ্দীনের ডান পায়ের দুই স্থান ও মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মইনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জরুরী বিভাগের ডা: দিবাকর মন্ডল জানিয়েছেন।

সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল সাড়ে পঁচটার দিকে মাগুরায় মইনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মইনের চাচা শহিদুল ইসলাম।

এ দিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী চিনাটোলা বাজারে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে কোচটি( ঢাকা মেট্রো-ব- ১৪-৭৭০৩) আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে কোচটি থানায় নিয়ে আসে। তবে চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের মেঝ ভাই জুলফিকার আলী ভূট্টো বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন