হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

মনিরামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:

যশোরের মনিরামপুরে আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের এক এএসআইসহ সাতজন আহত হয়। শনিবার দুপুরে সংর্ঘের পর একে অপরকে দোষারোপ করে রাতে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। সংঘর্ষের পর এলাকায় দুগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানাযায়, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে দুস্থ রোগীদের মধ্যে চেক বিতরণের আয়োজন করা হয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এসএম ইয়াকুব আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ, থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মেহেদী হাসান।

অভিযোগ রয়েছে প্রধান অতিথি এস এম ইয়াকুব আলীর বক্তব্যের শুরুতেই মিলনায়তনের বারান্দায় এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আহত হয় এমপি গ্রুপের উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পী হুসাইন, আবু সালেহ, রিয়াদ হোসেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের রনি হোসেন ও পরস হোসেন। পরবর্তিতে সন্ত্রাসীরা মিলনায়তনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশের (ডিএসবি) এএসআই ফিরোজ হোসেন এবং এমপির ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এসআই শহিদুল ইসলামকে মারপিটে আহত করা হয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরে আহতদের উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর উষ্কানিতে তার ভাই শ্রমিকলীগ নেতা বাবুল করিম বাবলুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পীতভাবে তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু জানান, মিলনায়তনের বারান্দায় হট্টোগোলের শব্দ পেয়ে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে সকলকে নিবৃত করার চেষ্টা করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন অনাকাঙ্খিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনায় শনিবার রাতে একে অপরকে দোষারোপ করে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।

মনিরামপুর থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, অভিযোগ সমুহ তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন