হোম খুলনাযশোর মনিরামপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছার ইন্তেকাল, হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজা অনুষ্ঠিত

মনিরামপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছার ইন্তেকাল, হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে জানাজা অনুষ্ঠিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 84 ভিউজ
মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি:
মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
শনিবার দুপুর দুইটার দিকে মনিরামপুর পৌর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ  রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলার নেঙ্গুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে আটঘরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ মুছা ১৯৭৮ সালে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি পর পর তিনবার উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন নেঙ্গুড়াহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মরহুমের ছোট ছেলে মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, গত বুধবার দুপুরে মনিরামপুর পৌর শহরের বাসভবনে তার পিতার শরীরে প্রচণ্ড জ¦র দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
শনিবার সকালে মোহাম্মদ মুছার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মনিরামপুর পৌর শহরের বাসভবনের সামনে আনা হলে তাকে শেষবারের মত দেখার জন্য বিএনপির হাজারও নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে। এ সময় স্বজনসহ নেতা-কর্মীদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে মনিরামপুরের গন্ডি পেরিয়ে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে অগণিত নেতা-কর্মী আসেন জনপ্রিয় নেতা মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুর খবর পেয়ে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ)অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আসেন মোহাম্মদ মুছার বাসভবনে। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। অনুরূপভাবে বাসভবনে গিয়ে সমবেদনা জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি।
দুপুর দুইটার পর পৌর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মাসনা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইয়াহইয়ার ইমামতিতে জানাজায় হাজারও মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা রশিন বিন ওয়াক্কাস, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ইবাদুল ইসলাম মনু ও মোহাম্মদ মুছার ছোট ছেলে মঈনুল ইসলাম মঈন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল বারী রবু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, মিজানুর রহমান খান, গোলাম রেজা দুলু, যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তফা আমীর ফয়সাল, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান জহির, খায়রুজ্জামান মধু, ঝিকরগাছা বিএনপির মোর্তজা এলাহী টিপু, সাবেক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইফতেখার সেলিম আগ্নী এবং মনিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জানাজা নামজ শেষে মোহাম্মদ মুছার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপি, মনিরামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন