স্পোর্টস ডেস্ক:
গত সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপ খেলতে মালদ্বীপ গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ফেরার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকানো হয় দলটির পাঁচ ফুটবলারকে। এই পাঁচজনের ব্যাগ থেকে বিমানবন্দরের কাস্টম কর্মকর্তারা ৬৪ বোতল মদ পেয়েছিলেন।
আলোচিত পাঁচ ফুটবলার হলেন- তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো, তৌহিদুল আলম সবুজ, শেখ মোরসালিন ও রিমন হোসেন। বিমানবন্দরে মদ নিয়ে ধরা খাওয়ার পর নিজেদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তারা। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও শাস্তি পেতে পারেন তারা।
চলতি মাসের ১২ এবং ১৭ তারিখ বাছাইপর্বের প্রাথমিক রাউন্ডে মালদ্বীপের বিপক্ষে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের এমন ঘটনা বিপদে ফেলতে পারে বাংলাদেশ দলকে। তাদের বাদ দেয়া হতে পারে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচে।
বাছাইপর্বের মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মালদ্বীপ-বাধা পেরোতে না পারলে আগামী দেড় বছর ফিফা-এএফসির কোনো টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ হবে না বাংলাদেশের। আর মালদ্বীপকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বের ‘আই’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলবেন জামালরা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচে দলের অন্যতম সেরা তিন তারকা তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান জিকো এবং শেখ মোরসালিনকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বুধবার (৪ অক্টোবর) বাফুফের এক সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাহউদ্দিন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন বাফুফে বস।
তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাফুফে। বুধবারের মিটিংয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। রিপোর্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাফুফে।