হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বিয়ে, বাবার জিম্মায় দিলেন ইউএনও

মণিরামপুরে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বিয়ে, বাবার জিম্মায় দিলেন ইউএনও

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 94 ভিউজ

মণিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি :

মণিরামপুরে ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রী তানিয়া খাতুন (১২)। এই বয়সেই সে বাবার বাড়ি ছেড়ে চলে যায় প্রেমিক আব্দুল্লাহের (১৬), বাড়িতে। এরপর তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়েও করেন। কিন্তু মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসানের, হস্তক্ষেপে বাবার বাড়িতে ফিরতে হয়েছে তাকে। বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতেই হবে। ঘটনাটি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামে।

দিনমজুর আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের ফজলু গাজীর ছেলে। তানিয়া কুলটিয়া ইউনিয়নের পদ্মনাথপুর গ্রামের আকরাম মোল্যার মেয়ে। দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হোসেন জানিয়েছেন, দেড়মাস আগে তানিয়া পালিয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনদের ডেকে মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ থাকার পর আবার সে প্রেমিকের বাড়িতে চলে আসে। পরে এফিডেভিটের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন। মেয়ে পক্ষের তৎপরতায় বাড়িতে টিকতে না পেরে আব্দুল্লাহ তাকে নিয়ে নওয়াপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

তিনি বলেছেন, ‘মেয়েকে না পেয়ে তার বাবা-মা আমার কাছে আসেন। আমি তাদের (ইউএনওর) সহায়তা নিতে পরামর্শ দিই। এরপর ইউএনও স্যারের নির্দেশে আজ, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ছেলেমেয়েকে নিয়ে তার কার্যালয়ে যাই। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘মেয়ে ও ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের পৃথক থাকতে ইউএনও নির্দেশনা দিয়েছেন। স্যারের নির্দেশে বিকেলে মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সৈয়দ জাকির হাসান) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন