হোম Uncategorized মণিরামপুরে পৃথক ঘটনায় তিন ব্যক্তির অপমৃত্যু

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মণিরামপুরে পৃথক ঘটনায় একইদিনে তিনটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বলহরি বিশ্বাসের ছেলে নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৬৫) গলায় ফাঁস দিয়ে এবং হরিহরনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন(৩০) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে। আর খানপুর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান (২৫) বিদ্যুতের খুঁটি চাপাপড়ে মারা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত উপজেলার আলীপুর গ্রামের নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়ির সবার অগোচরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি আমগাছের সাথে গলায় রশি জড়িয়ে ফাঁস দেন।

শুক্রবার ভোরে স্বজনরা তার লাশ আমগাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে মৃতের হালহকিকত শুনে লাশ সৎকারের অনুমতি দেন।

অন্যদিকে উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের মৃত. আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে আত্মহত্যাকল্পে কীটনাশক পান করেন। তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য এদিন বিকেলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

শুক্রবার (০১অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় বিল্লাল হোসেন মারা যান। সম্প্রতি পিতা আনোয়ার হোসেন মারা যাবার পর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে বিল্লাল হোসেন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে মণিরামপুর পৌর এলাকার কামালপুরে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপানের খুঁটি পুতার কাজ করছিলেন।

এ সময় অন্য শ্রমিকদের সাথে বাঁশ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি খাঁড়া করার সময় হঠাৎ বাঁশ পিছলে যেয়ে খুঁটির নিচে চাপা পড়ে গুরুত্বর আহত হন মমিনুর রহমান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মণিরামপুর হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মমিনুরকে খুলনায় রেফার করা হয়। খুলনায় চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মমিনুর মারা যান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন