মণিরামপুর (যশোর) :
মনিরামপুরে ক্রাইমজোন ভান্ডারিমোড় সংলগ্ন প্রবাসীর বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত তিনটাই দিকে এঘটনা ঘটে।
এসময় ডাকাতরা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ চারটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোববার ভোরে খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রবাসী মানিকের ছোটভাই মনির হোসেন জানান, তিনিও সৌদি থাকতেন। একবছর আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। এখন গ্রামেই থাকেন।
শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ৮-১০ জন সশস্ত্র ডাকাত বাড়ির পেছনের গেটের তালা ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ডাকাতদের একজন তার মাথায় পিস্তল ঠেকায়। বাকিদের হাতে চাকু ও রডসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। এরপর আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতরা ঘরের সব ওলোটপালট করে চার ভরি স্বর্ণালংকার, চারটি দামী ফোন ও নগদ চার-পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ডাকাতদের সবার মুখ খোলা ছিল। তবে তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। এদিকে ডাকাতরা ঘটনা ঘটিয়ে যশোরের দিকে যাওয়ার সময় পলাশী মোড়ে নৈশপ্রহরীদের হুমকি দিয়ে গেছে। তাদের খবর যেন পুলিশকে না জানানো হয় সেই মর্মে তাদের হুমকি দেওয়া হয়। এই তথ্য খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশকে জানিয়েছেন নৈশপ্রহরীরা। খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম রসুল বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে আমরা ভাণ্ডারীমোড় এলাকা টহল দিয়ে ফিরেছি।
এর পরপরই এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি।’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে, রোববার তাদের ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা তোলার কথা। কিন্তু ডাকাতরা ইনফরমেশন পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। ওই খবরের ভিত্তিতে মূলত ডাকাতরা এসেছিল।
এসআই রসুল আরো বলেন, ‘মামলা করলে বোমা মেরে বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছে ডাকাতরা। তাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি মামলা করতে চাচ্ছেন না। তারপরও তাদেরকে থানায় আসতে বলেছি।’ এ ঘটনায় ওই অঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে