হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শাশুড়িকে মারধর!

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মণিরামপুরে ডলি দাস (৩৫) নামে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মশ্মিমনগর কাঁঠালতলা দাসপাড়া শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

ডলি দাস ওই পাড়ার অশোক দাসের স্ত্রী। নিহতের বাবার নাম পূর্ণ দাস। তিনি কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্বজনদের দাবি, নির্যাতনে হত্যার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ডলি দাসের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এদিকে, ক্ষিপ্ত স্বজনরা অশোক দাসের বাড়ি ভাংচুর একইসাথে তারা অশোক দাস ও তার মা কবিতা দাসকে মারপিট করেছে বলেও অভিযোগ। মাকে নিয়ে সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন অশোক দাস। তাদের অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. দীবাকর কুমার।

নিহত ডলি দাসের মা পারুল রানী বলেন, ৬-৭ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিছি। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর সুখদেব (অশোকের বাবা) ডলিকে কুপ্রস্তাব দিতো। মেয়ে রাজি না হওয়ায় ওরে নির্যাতন করতো। আমার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও একচোখের কোণে রক্ত জমে আছে। ও আত্মহত্যা করিনি। ওরা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।

নিহতের ভাই শ্রীবাস বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পরে ডলি মারা গেছে। কিন্তু ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাদের জানায়নি। অন্যলোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অশোকরা লোকজন নিয়ে আমাদের মারপিট করে। আমরা ওদের মারিনি।’

মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় শাড়ি জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ডলি দাস। খবর পেয়ে মেয়ে পক্ষের লোকজন এসে অশোকদের বাড়ি ভাঙচুর করে দুইজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই লিটন বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন