মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
মণিরামপুরে চিকিৎসা নিলে গর্ভে সন্তান আসবে এমন প্রতারণায় ইজিবাইক চালকের সহযোগীতায় পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ঘরের মধ্যে আটক রেখে সন্তান প্রত্যাশী এক গৃহবধূ (১৮) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার ছয় দিন পর স্থানীয়রা ধর্ষক বিল্লাল হোসেন (৫০) এবং তার সহযোগী দীন ইসলাম (৪৪) কে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর ভাই লিটন ব্যাপারী বাদী হয়ে রবিবার মণিরামপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মণিরামপুর থানার মামলা নং-১০। ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০। এদিকে ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণসহ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবারসূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা বিশ্বাস পাড়া এলাকার দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়ের গত ৮ মাস পূর্বে বিয়ে হয় যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট-আমিননগর গ্রামে গত ৪ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে শশুরবাড়ী থেকে পিতার বাড়ীর উদ্দেশ্যে পুলেরহাট বাজার থেকে পরিচিত ইজিবাইক চালক দীন ইসলামের গাড়িতে রওনা হয় ওই গৃহবধূ।
বিয়ে হলেও সন্তান হচ্ছেনা এমনটা জানার পর ওই গৃহবধূর ইচ্ছায় ইজিবাইক চালক তাকে পথিমধ্যে রোহিতা বাজারে পল্লীচিকিৎসক বিল্লাল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিন পাশ্ববর্তী তার দুইতলা বাড়ীতে পরিবারের অন্যকেউ না থাকার সুযোগে সেখানে নিয়ে সন্তান হওয়ার চিকিৎসা প্রদানের নামে একটি কক্ষে আটক রেখে ওই ইজিবাইক চালকের সহযোগীতায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। স্বামীর সংসার ও লোকলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখে ওই গৃহবধূ।
এক পর্যায় তার পরিবারসহ স্থানীয়রা বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জানার পর ৯ অক্টোবর শনিবার রাতে পল্লীচিকিৎসক বিল্লাল হোসেন ও ইজিবাইক চালক দীন ইসলামকে রোহিতা বাজার থেকে ধরে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এরপর পুলিশ তাদেরকে আহত অবস্থায় জনতার কাছ থেকে আটক করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ধর্ষণের ঘটনায় আটক পল্লীচিকিৎসক বিল্লাল হোসেন একই এলাকার কোদলাপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ পাটোয়ারীর পুত্র। এবং ইজিবাজইক চালক দীন ইসলাম পাশ্ববর্তী বাগডোব গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার পুত্র।