হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে চায়ের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

মণিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থদের মামলা না করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে সাহাজান আলীর কাছ থেকে ১৯৯০ সালে তিন শতক জমি ক্রয় করেন স্থানীয় মৃত ইন্তাজ আলী মোড়লের দুই ছেলে গফুর মোড়ল ও সিদ্দিক মোড়ল। সেই থেকে গফুর ও সিদ্দিক ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই জমি নিজের দাবি করেন ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান গং। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের ভাই আবদুল আলিম আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেমোতাবেক নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই বখতিয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ শুনানী শেষে আদালত আব্দুল আলিমের দাখিলকৃত আবেদনটি খারিজ করে দেন। পরবর্তিতে আদালতের রায় অনুকুলে হওয়ায় গফুর ও তার ভাই সিদ্দিক মোড়ল স্থানীয় নেহালপুর ফাড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে ওই জমিতে একটি চায়ের দোকান নির্মান করেন। সেই থেকে তারা চায়ের ব্যবসা করে আসছিলেন।

ঘটনার দিন দুপুরে ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাই আবদুল আলিম, মিলন, হাফিজুর, মফিজুর, আজিজসহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে কালিবাড়ি বাজারে গফুর ও তার ভাই সিদ্দিক মোড়লের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পর লুটপাট চালায়। এ সময় দোকানে ছিলেন কর্মচারী আবু খয়ের। অবশ্য হামলার সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কর্মচারী আবু খয়ের পালিয়ে প্রানরক্ষা করেন। দোকান মালিক গফুরের অভিযোগ, হামলা ও ভাংচুরকালে সন্ত্রাসীরা দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মলামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পরে জানাবেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। স্থানীয় ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামান ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে দোকান ভাংচুরের সততা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সময় তিনি ফাঁড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে কাউকে পাননি। থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন