হোম জাতীয় মণিরামপুর পৌরশহরে স্ত্রী চুমকি হত্যার অভিযোগে স্বামী মৃত্যুঞ্জয় আটক

মণিরামপুর পৌরশহরে স্ত্রী চুমকি হত্যার অভিযোগে স্বামী মৃত্যুঞ্জয় আটক

কর্তৃক
০ মন্তব্য 153 ভিউজ

মণিরামপুর(যশোরর)প্রতিনিধি :

যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরে শিশু সন্তানের সামনে চুমকি চন্দ্র(২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। চুমকি চন্দ্র পৌরশহরের হাকোবা এলাকার মৃত্যুঞ্জয় দত্তের স্ত্রী।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে রোববার রাতে স্বামী মৃত্যুঞ্জয় দত্তের সঙ্গে চুমকি চন্দ্রের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারপিটের পর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মৃত্যুঞ্জয় দত্ত পালিয়ে যান। আর এসব ঘটে তাদের একমাত্র সন্তান চার বছর বয়সী মেয়ে নেহা দত্তের সামনে। একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী শিশু নেহা তার মায়ের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য পুলিশসহ সকলের সামনে বর্ণনা করেছে। পুলিশ সোমবার সকালে চুমকির মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় দত্তকেও আটক করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, পৌরশহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুণ চন্দ্রের একমাত্র মেয়ে চুমকি চন্দ্রের সঙ্গে হাকোবা এলাকার ট্রাকচালক কৃঞ্চ দত্তের ছেলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মৃত্যুঞ্জয় বেকার থাকায় চুমকির অভিভাবকরা এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি। পরে তারা ২০১১ সালে গোপনে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে মৃত্যুঞ্জয় চুমকিকে নিজের (বাবার) বাড়িতে উঠিয়ে সংসার শুরু করেন। ২০১৬ সালে তাদের একমাত্র মেয়ে নেহার জন্ম হয়। এরই মধ্যে মৃত্যুঞ্জয় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
চুমকির বাবা জানান, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মৃত্যুঞ্জয়কে যশোরে একটি কোম্পানির এসআর (সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ) পদে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।

চুমকির ভগ্নিপতি মিহির কুমারের অভিযোগ, মৃত্যুঞ্জয় নেশা করে বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া করতেন। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিরোধ হতো। রোববার রাতেও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে চুমকির ঝগড়া হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিল তাদের একমাত্র শিশু সন্তান নেহা দত্ত। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মৃত্যুঞ্জয় চুমকিকে মারপিট করে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিশু নেহা জানায়, মারপিটের পর বাবা তার মায়ের গলা টিপে ধরে এবং মাথা দেওয়ালের সাথে আঘাত করে। মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাবা (মৃত্যুঞ্জয়) মুখে বালিশ চাপা দেয়।

এদিকে খবর পেয়ে সোমবার সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর-সার্কেল) সোয়েব আহমেদ খান, ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা তরুণ চন্দ্র বাদি হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ নিহতের স্বামী মৃত্যুঞ্জয়কে আটক করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন