অনলাইন ডেস্ক:
সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা না করেই পণ্যের ওপর কর এবং ভ্যাট আরোপ করেছে সরকার। যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিবে। আর এতে করে সাধারণ মানুষ আরও চাপে পড়বে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
এমন সময়ে, এসেছে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবও। ফলে, এসব সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার।
ফল, রেস্তোরাঁর খাবার, ইন্টারনেটসহ ১০০টিরও বেশি পণ্য ও সেবার ওপর মূল্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে, সব ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিবে। যার প্রভাব এখন থেকেই ভোক্তার উপর পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি।
শনিবার মতিঝিলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আরও জানান, স্টেকহোল্ডারের সাথে কোনো আলোচনা না করে কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে, মূল্যস্ফীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা না করে, একদিকে ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে গেছে, মানি মার্কেটে ক্রাইসিস, ব্যাংকিং সেক্টরে আমাদের একটা বিরাট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। সবকিছুর পরে যদি আবার এরকম একটি বিষয়ের বাস্তবায়ন বছরের মাঝে হয়ে যায় তাহলে কি ভাবে ইনফ্লেশন উপরের দিকে যাবে না, এটা আমাদের বোধগম্য নয়।’
এদিকে, গ্যাসের দাম ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা বা ১৫২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। এর ফলে, শিল্প খাতে ব্যবসায়ীদের খরচ আরো বেড়ে যাবে বলে জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘প্রায় দেড়শ ভাগ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত তিন বছরে কিন্তু আমরা ২০০ ভাগ প্রাইজ হাইক নিয়েছি। নতুন এ প্রস্তাব যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে আমরা দেখছি যে ৪০০ ভাগের মতো দাম বাড়ছে ৩ বছরে। আমাদের ব্যবসায় তো এত লাভ করার সুযোগই নেই। আমরা এটা কভার করব কিভাবে?’
রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসায়ীদের আরো কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। তাই, দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিকে আলাদা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।