জাতীয় ডেস্ক:
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব প্রকার সন্ত্রাস ও নাশকতা এড়াতে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। মহানগরীর ৩১০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২২৬টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৪টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে তালিকা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
নির্বাচনের আগে ও পরবর্তীতে মহানগরীতে দায়িত্ব পালন করবে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য। শুক্রবার সকালে সদর থানা প্রাঙ্গণে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে তথাকথিত হরতাল-অবরোধেও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং এখনও স্বাভাবিক থাকবে। যদি ভোটদানে কেউ বাধা, প্রতিবন্ধকতা অথবা নাশকতা সৃষ্টি করতে চায়, সেক্ষেত্রে পুলিশের পিকেট, মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং টিম প্রস্তুত আছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আগামী ৭ জনুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য কেএমপি ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা করেছে। নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা গত ৮ আগস্ট থেকে সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী বা সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তিশালী যারা নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি। এ পর্যন্ত ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩২ রাউন্ড গুলি, ২৫টি চোরাই মোটরসাইকেল, ককটেল, গান পাউডার, চোরাই স্বর্ণালঙ্কারসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
নির্বাচন আরও সুষ্ঠু, সুন্দর এবং উৎসব মুখর পরিবেশে করার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। অন্যান্য সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোছা. তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ.জেড.এম তৈমুর রহমান, খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খাঁন।