খুলনা অফিস :
হাজী মহসিন রোড নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কের এক পাশে অবৈধ দোকান এবং অন্যপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং দুর্ঘটনা। শুধু হাজী মহসিন রোডেই নয়, সোনাডাঙ্গা ও মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার সড়কেও এই চিত্র।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে (কেসিসি) বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে সম্পর্ক রেখেই সড়কের পাশে এমন অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ পথযাত্রীদের। এমনিতেই নগরীর সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এরপর আবার সড়ক দখল নতুন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, নগরীর অনেক বহুতল ভবনের মালিকরা নকশার বাইরে ভবনের বারান্দা এবং আইন বর্হিভ‚তভাবে ফ্লাটের জন্য অনুমোদন নিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরে (নিচতলা) দোকান নির্মাণ করেন। এই চিত্র আবাসিক এলাকার বাইরের এখন বাণিজ্যিক এলাকাতেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে ভবনের বাসিন্দাদের বিভিন্ন ধরণের বৈরী পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়। অবশ্য কেডিএ কর্তৃপক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে নগরীর বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কেসিসি’র সড়কের মধ্যে পাথর, ইট, বালি সহ নির্মাণ সামগ্রী রাখা হচ্ছে দিনের পর দিন। যার ফলে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রাস্তার প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় তৈরী হচ্ছে যানজট। এ বিষয়ে কেসিসি’র এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) কয়েকটি সড়কে অভিযান করেছি। যারা রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখছে তাদের প্রথমে নোটিশ এবং পরবর্তীতে ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
কেডিএ’র অথরাইজড অফিসার মো: মজিবুর রহমান জানান, কেডিএ’র নকশার বাইরে ভবন মালিকরা কোন কিছু করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাজী মহসিন রোডে নকশার বর্হিভ‚ত ভবনের সামনে দোকান নির্মাণ করার সংবাদ পাওয়ার পর তাদেরকে নোটিশ করা হয়েছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, নগরীর অন্যান্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় কেডিএ’র ভবন নির্মাণের সময় অনুমোদন নিতে হয়। এসময় অনেক আইন কানুনের মধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে যদি ভবন মালিক মনে করেন তার জায়গায় তিনি অনুমোদনের বাইরে কিছু করবেন সেটা আইন বর্হিভ‚ত। এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।