হোম খুলনাযশোর ভিটাবল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পদ লুটপাটে মরিয়া একটি চক্র

ভিটাবল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পদ লুটপাটে মরিয়া একটি চক্র

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 34 ভিউজ

যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের বাঘারপাড়ার ভিটাবল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পদ লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। ওই চক্রটি বিদ্যালয়ের সম্পদ লুটপাটে মরিয়া। এরই মধ্যে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে। এর আগেও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শুভানুধায়ী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার ভিটাবল্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে বেশ কিছু গাছ ছিলো। এসব গাছগুলো অনেক বড় বড় হয়েছিলো। কিন্তু এই গাছের উপর কু-দৃষ্টি পড়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদ ফকিরের। তারা বেশ কিছু দিন ধরে বিদ্যালয়ের গাছগুলো কেটে বিক্রি করার জন্য নানা রকম ফন্দিফিকির করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ছুটির দিনে (গত ৮ নভেম্বর) বিশাল আকৃতির একটি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করে। এ ঘটনা এলাকার মানুষ জানতে পেরে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে কাটা গাছ স্কুল বাউন্ডারির এলাকা থেকে সরিয়ে পাশ্ববর্তী রাস্তার পাশে রেখে দেয়। এর আগে অক্টোবর মাসে আরো দুটি গাছ কেটে সাবাড় করে গাছ খেকো এই চক্রটি।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করে তা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে লাগাতে হবে। তা না করে বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি করে নিজেদের পকেটে ভরছে।
তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ইউনিয়ন বিএনপির নেতা এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রশিদ ফকিরের ভাইপো বাঘারপাড়া থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আসলাম হোসেন ফকির ওপর ভর করে স্কুল বেঁচে খাচ্ছে। আসলাম ফরিরের কারণে লুটপাটে উঠেপড়ে লেগেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রশিদ ফকির বলেন, গাছগুলো তিনটি পক্ষ দাবি করে আসছিলো। এছাড়া গাছগুলোর কারণে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। যে কারণে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার এক ছাত্র গাছের ব্যবসা করে, তাকে ডেকে এনে গাছগুলো বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, গাছগুলো বিক্রির বিষয়ে কাউকে না জানানো অন্যায় হয়েছে। এখন আমরা গাছগুলো বিক্রির বিষয়ে টেন্ডার করবো।
তিনি আরো বলেন, গাছগুলো বিক্রির বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার গত রোববার এসে দেখে গেছেন। তিনি বিষয়টি জানেন।
এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিকুজ্জামান বলেন, আমি খোঁজ নিচ্ছি। আপনি রোববার ফোন করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন