শিক্ষা ডেস্ক:
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তিন শিক্ষার্থীর তিন সহোদরকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভর্তি কার্যক্রম শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তিন সহোদরা হলেন- তামান্না তাবাসসুম, নাইরিন-ই ও নভেরা।
রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও হামিদুল মিসবাহ এবং স্কুলের পক্ষে রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন।
আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্ট তিন শিক্ষার্থীকে রোববারের মধ্যে ভর্তি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছে, ভর্তির আসন সংখ্যার যে তালিকা আদালতে দেয়া হয়েছে তার মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। মামলায় শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়টি জড়িত। এখনো কোনো ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই।
বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে, সে সকল সহোদর/সহোদরা বা যমজ ভাই-বোনের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের জন্য তা প্রযোজ্য হবে।
এক্ষেত্রে আবেদন সংখ্যা অধিক হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে উক্ত ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। এই নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষার্থীর পক্ষে হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রিট আবেদন করেন তাদের অভিভাবকরা। সব রিটের শুনানি নিয়ে নীতিমালা স্থগিত করে তাদের ভর্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ৫ শতাংশের বাধ্যবাধকতা অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং ভর্তি হতে না পারা ২১ জনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আজ বাকি দুটি রিটের শুনানি নিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে রোববারের মধ্যে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হলো।