জাতীয় ডেস্ক:
কুড়িগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলা শহরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, শহরের দুটি খাল দখল হওয়াসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শহরবাসীর।
রোববার (১৬ জুন) কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, রোববার দুপুরে সরজমিনে পৌরসভার একাধিক ওর্য়াডে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেনগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্য, ময়লা-আর্বজনা জমে থাকার কারণে বৃষ্টির পানি সহজে নামতে পারছে না। এর ফলে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, খাদ্যগুদাম, হাসপাতাল পাড়া, শিক্ষা অফিস, মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ, রৌমারী পাড়া, গণপূর্ত অফিস, তালতলা, হরিকেশ কানিপাড়া, হাটিরপাড়, স্বাধীন পাড়া, পৌরবাজার এলাকা, মধুর মোড়, দাদামোড়, গড়ের পাড়সহ পৌর শহরের অনেক স্থানের রাস্তা এবং বাসা-বাড়িগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভার রৌমারি পাড়ার বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি রাস্তা জমে থাকায় চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। পৌরসভার পুরো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে পড়ায় পানি নামতে পারছে না। ফলে হাজার হাজার বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভার উদাসীনতায় বাসিন্দাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পৌর বাজার এলাকার জুয়েল রানা নামে এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারের পাশের ড্রেনটি অকেজো হয়ে আছে। পৌরসভার লোকজন এসব দেখে না? গত তিনদিন ধরে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে আছে। এর কারণে লোকজনের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।
সাংস্কৃতিক কর্মী শ্যামল ভৌমিক বলেন, পৌর শহরের বৃষ্টির পানি পৌরসভার ঈদগাহের নালা দিয়ে নামতো। কিন্তু নালাটি ভরাটের কারণে পানি নামতে পারছে না।
অপরদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, শহরের ড্রেনগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি ধীরে ধীরে নামছে। এ সময় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। এ সময় দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।