আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাশ্মীরে হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটো নিজেরাই এর সুরাহা করবে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রোমের যাওয়ার উদ্দেশে প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে ট্রাম্প বলেছেন, আমি জানি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গুরুতর উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদসহ একাধিক কারণে এমনটা তো সবসময়ই ছিল। তারা নিজেরাই কোনও একভাবে এর সমাধান বের করবে।
দুদেশের নেতার সঙ্গেই তার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তবে চলমান ইস্যুতে তাদেরকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে কিছু বলবেন কিনা, এ প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তিনি।
কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল পহেলগাঁওতে গত মঙ্গলবার সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে দায়ী করা হলেও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, হামলার পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ) নামের একটি গোষ্ঠী। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই টিআরএফ মূলত পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবার একটি গোপন শাখা।
কাশ্মীরের অধিকার নিয়ে বহুবছর ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরের জন্য এ পর্যন্ত দুটি যুদ্ধে জড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ দুটো।
হামলার পর দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। দিল্লি ও ইসলামাবাদ উভয়ই পরস্পর একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রায় ছ দশকের পুরোনো পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। জবাবে নিজেদের আকাশসীমায় ভারতীয় উড়োজাহাজের প্রবেশ নিষেধ করেছে পাকিস্তান। এছাড়া, পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক বহিষ্কার ও মিশনের আকার ছোট করার পদক্ষেপ তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে, নিরাপত্তার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্যেও মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কাশ্মীরের হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ভারত সরকার। চলমান অস্থিরতার কারণে দেশটির শেয়ার বাজারে শুক্রবার ব্যাপক দরপতন দেখা যায়। কিছুসময় পর অবশ্য বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।