হোম অন্যান্যসারাদেশ ভবদহ ও কেশবপুর অঞ্চলের জলাবদ্ধতার নিরসনে টি আর এম চালুর দাবিতে পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

ভবদহ ও কেশবপুর অঞ্চলের জলাবদ্ধতার নিরসনে টি আর এম চালুর দাবিতে পানি সম্পদ মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি কেশবপুর (যশোর) :

যশোরের দুঃখ খ্যাত ভবদহসহ তৎসংলগ্ন টিআরএম কার্যক্রম চালু না থাকায় এলাকায় আবারও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। হরি ও টেকা-মুক্তেশ্বরী ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্বল্প বৃষ্টিপাতেও বসতি এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ভবদহ ও কেশবপুর অঞ্চলের জলাবদ্ধতার সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকালে স্মারক লিপি প্রদান করেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে গঠিত পানি কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী ও পানি কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ হাসেম আলী ফকির। উপজেলা নিবৃাহী কর্মকর্তার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম।

স্মারক লিপি সূত্রে জানা গেছে, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা ইস্যুটি বহুল আলোচিত জাতীয় পর্যায়ের একটি ইস্যু। সুদীর্ঘ ৩০-৩৫ বৎসর যাবৎ এ সমস্যাটি অব্যাহত আাছে। বতর্মানে ভবদহ অঞ্চল অতিক্রম করে সমস্যাটি নিম্নে তেলিগাতী-ঘ্যাংরাইল অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত অসহায় মানুষদের জীবন জীবিকায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। নীচু বসতি এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ঐসব এলাকা থেকে ব্যাপকহারে মানুষ স্থানান্তরিত হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। খুকশিয়া বিলে ৭ বৎসর ধরে টিআরএম বাস্তবায়নের পর পরবর্তীতে বিল হিসাবে পার্শ¦বতী কপালিয়া বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জনগণ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে দ্ব›দ্ব সংঘাতের কারণে উক্ত বিলে টিআরএম কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। তাছাড়া বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় প্রতি বৎসর এলাকা প্লাবিত হওয়া, বিল ব্যবস্থাপনায় কর্তৃৃপক্ষের উদাসীনতা প্রভৃতি কারণে বিল অধিবাসীদের দীর্ঘ ৭ বৎসর যাবৎ চরম মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হতে হয়েছে।

এতে পার্শ্ববতী বিল কপালিয়ার অধিবাসীদের মনে এ ধারণা তৃণমূল হয় যে, তাদেরকেও অনুরূপ ভোগান্তির শিকার হতে হবে। জনগণের এ ধরণের মনোভাবকে পুঁজি করে ঘের মালিকরা এবং রাজনৈতিক দলাদলিতে দ্ব›দ্ব সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত কপালিয়া বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে কপালিয়া বিল অধিবাসীদের মনোভাব টিআরএম বাস্তবায়নের অনুকূলে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন